নিজস্ব প্রতিবেদক
পাঁচদিন ধরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। প্রচন্ড জ¦র আর দুর্বল অবস্থায় যশোর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন। কিন্তু অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালের বেড থেকে উঠে এ্যাম্বুলেন্সে চড়ে দলীয় কার্যালয়ে একটি সভায় যোগ দিয়েছে তিনি। এসময় তার হাতে ক্যানেলা লাগানো ছিল। অসুস্থ অবস্থায় জেলার এই শীর্ষ নেতা এভাবে অনুষ্ঠানে যোগদানে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হন। এসময় তাকে দেখে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
গতকাল ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এদিন বিকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভা হয়। অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণ পরেই হাসপাতাল বেড থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে সরাসরি সভায় যোগ দেন মিলন। সভা শেষ করে সন্ধ্যায় আবার সেই অ্যাম্বুলেন্সেই হাসপাতালে যান তিনি। এর আগে গত শনিবার দুপুরে নিউমোনিয়া জ্বরে আক্রান্ত হলে অজ্ঞান অবস্থায় যশোর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বর্ষীয়ান এই নেতা বলেন, আমি খুব অসুস্থ। গায়ে ব্যাথা এবং জ্বরে বারবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছি। গত শনিবার অজ্ঞান অবস্থায় পরিবারের লোকজন আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। ডাক্তার আমাকে বাইরে বের হওয়ার নিষেধ করেছেন। হাসপাতালের বেডে আমার স্যালাইন চলছিলো। তার পরেও ডাক্তারের নিষেধকে উড়িয়ে দিয়ে এই সভায় যোগ দিয়েছি। এই সভায় যোগ দেওয়ার প্রধান কারণ হলো ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এই দিনটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আবার সামনে নির্বাচন।
নির্বাচনে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ডাক্তারের কাছ থেকে ১০ মিনিটের ছুটি নিয়ে নেতাকর্মীদের সেই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার নির্দেশনা দিতেই আমি সভায় যোগ দিয়েছি। শুধু আজকের অসুস্থ না; আমি বেঁচে থাকাকালীন আওয়ামী লীগের যেকোন আন্দোলন সংগ্রামে আমি পাশে থাকবো। এদিকে অসুস্থ অবস্থায় এইভাবে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়াকে জেলার এই শীর্ষ নেতার দলের প্রতি নিখাদ ভালোবাসায় নেতাকর্মীরা উজ্জবিত হন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
