বাঘারপাড়া (যশোর) প্রতিনিধি
বাঘারপাড়ার হুলিহট্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ অধিকতর তদন্তের জন্য তিন সদস্যর কমিটি গঠন হয়েছে। এর আগে এক সদস্যের করা কমিটির তদন্ত রিপোর্ট যশোর জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। গত ১৬ জুলাই এ বিষয়ে দৈনিক কল্যাণে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বাঘারপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, হুলিহট্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হোসেন প্রায়ই শিশু শিক্ষার্থীদের সাথে শ্লীলতাহানি ও অশালীন শব্দচয়ন করতেন। এ ঘটনায় গত ১১ জুলাই বাঘারপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস একটি অভিযোগ পায়। অভিযোগ তদন্তের জন্য সহকারী শিক্ষা অফিসার নুর-এ-এলাহীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৪ জুলাই নুর-এ-এলাহী সরেজমিনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পান। এ বিষয়ে তিনি প্রতিবেদন জমা দেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার ইসমত আরা পারভীনের কাছে। প্রতিবেদনে নুর-এ-এলাহী উল্লেখ করেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকবৃন্দ, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, গণমাধ্যম কর্মী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে শিক্ষক নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ নিয়ে কথা হয়। প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, নাজমুল হোসেন এর আগে প্রেমচারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকাকালীন একই ঘটনা ঘটান। স্থানীয় জনরোষের কারণে তাকে হুলিহট্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়। নাজমুল হোসেন ঝিনাইদহ জেলায় চাকরিকালীন সময়ে একই ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে যশোর জেলায় বদলি হয়ে আসেন। বাঘারপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আসমত আরা পারভীন ১৬ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন যশোর জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট পাঠিয়ে দেন।
বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য গত ১৮ জুলাই তিন সদস্যের একটি কমিটি করেছেন। কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন, বাঘারপাড়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আশরাফুল আলম, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার জাহিদুল ইসলাম ও এসএম জাকির হোসেন।
বাঘারপাড়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আশরাফুল আলম জানিয়েছেন, বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে তিনি তদন্ত কাজ করতে পারেননি। তবে বিদ্যালয় খুললে দুই একদিরে মধ্যে তদন্ত কাজ শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলম জানিয়েছেন, আমি বিভাগীয় অফিসে তদন্ত প্রতিবেদনসহ চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি। তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।