নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলার হৈবতপুর ইউনিয়নে বিএনপির কর্মীসভায় স্থানীয় হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে ইউনিয়নের মিরা লাউখালি বাজারে ৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সভায় এই হামলা চালানো হয়। হামলায় বিএনপিসহ দলের অঙ্গ সংগঠনের ৫ নেতা আহত হয়েছেন।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, প্রশাসনের অবহিত করে মীরা লাউখালি ঈদগাহ মাঠে কর্মীসভার আয়োজন করেন। সভা শুরু হওয়া মাত্রই ইউপি চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিকের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী বাহিনী অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম, ইসহাক আলী, আলমগীর, বিল্লাল হোসেন, যুবলীগ সন্ত্রাসী মিঠু, মিলন, সোহাগ, বাবলু, শিমুল, জাহাঙ্গীর, জামাল অংশ নেয়। সন্ত্রাসীরা সভাস্থলে উপস্থিত প্রথমে বিএনপি নেতা সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালামকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং সভা মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করে। সভাস্থলে আসার পথে সন্ত্রাসীরা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক সাইফুলকে পিটিয়ে আহত করে। পরে মিরা লাউখালি বাজারে এসে সন্ত্রাসীরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আফজাল হোসেনকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এছাড়াও হামলায় ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি হাফিজুর রহমান, বিএনপি নেতা সাবলু গাজী, যুবদল, যুবদল নেতা নাজমুল ইসমাইল অমিত, জাহিদ, তরিকুল, সিদ্দিক, ইউসুফ আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বিএনপি নেতা আফজাল হোসেন ও যুবদল নেতা সাইফুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।
সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন বলেন, সভাস্থলে যাওয়ার পথিমধ্যে হামলার ঘটনা জানতে পারি। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মী সভা করার লক্ষ্যে আমরা প্রশাসনকে অবহিত করি। তাদের অবহিত করে সভার আয়োজন করা হয়। এই ইউনিয়নটি সন্ত্রাসী কবলিত একটি ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিতি। বিগত দিনে আমাদের অনেক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিকের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়েছে। সেই সন্ত্রাসীরা আবারও গতকালের কর্মসূচিতে তা-ব চালিয়েছে। আমরা হামলা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয় কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপি সভা স্থলে হামলা খবর শুনেছি। আমার কাছে সংবাদ আসা মাত্রই ফোর্স পাঠানো হয়। কিন্তু সভা স্থলে গিয়ে পুলিশ কাউকে পায়নি। তবে এ বিষয় বিএনপির পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেব।
ইউপি চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নে এই জাতীয় হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি।