নিজস্ব প্রতিবেদক
নড়াইল জেলার নড়াগাতীতে মুন্নি খানম হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোর। মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে মুন্নির প্রেমিক সোহেল সরদার (২০)কে গ্রেফতার ও আলামত উদ্ধার করেছে সংস্থাটি।
পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বলেছেন, নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার দক্ষিণ নলামারা গ্রামের শিমুল মিনার মেয়ে মুন্নি খানম (১৯)এর সাথে প্রায় ১৪ মাস আগে খুলনার তেরখাদা থানার হৃদয় ফকিরের সাথে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়।গত ২৯ আগস্ট বিকেলে তিনি বাবার বাড়িতে আসেন। রাতে তিনি নিখোঁজ হন। পরদিন ২ সেপ্টেম্বর নড়াগাতী থানা পুলিশ স্থানীয় একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
পিবিআই যশোরের ছায়া তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তি ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জানা যায়, মুন্নির সঙ্গে গ্রামের যুবক সোহেল সরদারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২৯ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারা নলামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে মিলিত হন। এক পর্যায়ে মনোমালিন্য দেখা দিলে সোহেল মুন্নিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে কচুরিপানার মধ্যে ফেলে দেয় এবং গলার স্বর্ণের চেইন লুট করে।
পিবিআই যশোরের চৌকস দল পুলিশ সুপার রেশমা শারমিনের নেতৃত্বে ও ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান গত ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় সোহেলকে গ্রেফতার করে। তার দেখানো মতে নিহত মুন্নির স্বর্ণের চেইনটি তার বাড়ির পেছন থেকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাকে বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।মুন্নি হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে নড়াগাতি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।