নিজস্ব প্রতিবেদক
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ১২ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে মারপিট এবং নাশকতামূলক কর্মকা- চেষ্টার অভিযোগে হয়রানির করা হয়। এমন দাবি করে করা দু’টি মামলায় আওয়ামী লীগের দুই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তারা হলেন, চাঁচড়া ডালমিল এলাকার হাজী আব্দুস সামাদের ছেলে সেকেন্দার আলী বাদশা ও অভয়নগর উপজেলার ধুলগ্রামের শেখ বাবর আলীর ছেলে বায়েজিদ হোসেন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আসে। এসময় হাফিজুর রহমান, মিজানুর রহমান, নাজমুল ইসলাম বাবুল, ওয়াহেদুজ্জামান দুলিসহ ৫০/৬০ বিএনপিন নেতাকর্মীকে মারপিট করে আহত করে। ওই সময় আসামিদের ভয়ে মামলা করা সম্ভব হয়নি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে পরিবেশ ফিরে আসায় এই মামলাটি করেছেন। সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট মুন্সী মঞ্জুরুল মাহমুদ ১৯ নভেম্বর রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেছেন। ওই মামলায় ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনসহ ৯৬ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ২৫০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এই মামলায় শেখ বায়েজিদকে গ্রেফতার করেছে।
অপরদিকে ১৮ নভেম্বর বিকেলে সদর উপজেলার মণিরামপুর মহসড়কের কানাইতলা নামকস্থানে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে উচ্ছেদ ও নাশকতামূলক কর্মকা-ের জন্য প্রস্তুতি নেয়। পরে স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় ২০ নভেম্বর রাতে অ্যাডভোকেট আকরাম হোসেন বাদী হয়ে নরেন্দপ্রর ইউপি চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদসহ ৬০ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।