নিজস্ব প্রতিবেদক
১২ দিন বন্ধের পর যশোরে আজ বুধবার থেকে ফের শুরু হচ্ছে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি। তবে ক্রেতারা ৫ কেজি চালের পরিবর্তে ৩ কেজি ও আটা ৫ কেজির পরিবর্তে পাবেন ৪ কেজি করে। তবে পূর্বের দামেই অর্থাৎ চাল ৩০ টাকা ও আটা ২৪ টাকা কেজিতে মিলবে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় মতে, সরকার স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ওএমএসের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে চাল ও আটা বিক্রি করছে। যশোর পৌর এলাকায় ১৪ জন ডিলারের মাধ্যমে এসব চাল-আটা বিতরণ করা হয়। আগে প্রতিজন ৫ কেজি করে সপ্তাহে একবার করে চাল-আটা ক্রয়ের সুযোগ পাচ্ছিলেন। শুক্রবার ও শনিবার (সরকারি ছুটির দিন বন্ধ) বাদে সপ্তাহে ৫দিন বিক্রি হয়। একজন ডিলার এখন ৯ টন চাল ও ১২ টন আটা পাবেন।
পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওএমএস ডিলার গোলাম মোস্তফা জানান, গত ১২ দিন বন্ধের পর আজ বুধবার থেকে আবারও চাল-আটা বিক্রি করা হবে। সপ্তাহে ৫ দিন আমরা চাল-আটা বিতরণ করে থাকি ১৭১ জনের মধ্যে। কিন্তু লাইনে দাঁড়ান প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৩শ মানুষ। যাদেরকে দেয়া সম্ভব হয় না তাদেরকে পরের দিন অগ্রাধিকার দেয়া হয়। মোট কথা যে পরিমাণ আমাদেরকে চাল-আটা বরাদ্দ দেয়া হয় তা অপ্রতুল। প্রতিদিন ওএমএস’র চাল-আটা কিনতে লাইনে মানুষের ভিড় বাড়ছে। এজন্য আমরা সরকারের কাছে বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য বারবার বলছি। কমপক্ষে প্রতিদিন ৩শ মানুষের জন্য বরাদ্দ বাড়ালে আমাদের ঝামেলা পোহাতে হয় না। এখন শুনছি চালের বরাদ্দ কমানো হয়েছে। কি করে সামাল দেব বুঝতে পারছি না।
ঝুমঝুমপুরের ওএমএস’র ডিলার নিতাই চন্দ্র সাহা বলেন, প্রতিদিন লাইনে সাড়ে ৩শ থেকে ৪শ মানুষ দাঁড়ায়। এরমধ্যে আমরা ১৭১ জনকে দিতে পারি। আবার আমাদের স্থানীয় মানুষ ও জনপ্রতিনিধিদের চাপ থাকে। যেকারণে সবাইকে দেয়া সম্ভব হয় না। এতে বিশৃঙ্খলা হয়। এজন্য ওএমএস’র বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।
বাজারে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম ৫০ থেকে ৫২ টাকা এবং আটা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। সেই হিসাবে একজন ক্রেতার ওএমএসের চাল-আটায় সাশ্রয় হয় গড়ে ৩০০ টাকা। এই সাশ্রয়ের জন্য তাদের লাইনে দাঁড়াতে হয় সেই কাকডাকা ভোরে। অপেক্ষায় থাকতে হয় ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা।
এব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিত্যা নন্দ কুন্ডু জানান, ঈদের ছুটির কারণে ১২ দিন বন্ধ ছিল। বুধবার থেকে ফের শুরু হচ্ছে বিক্রি। তবে এবার সরকার ডিলারদের চালের বরাদ্দ কমিয়েছে। আগে একজন ডিলার ১২ টন চাল পেলেও এবার পাবেন ৯ টন। আর আটা কমানো হয়নি। ১২ টন করেই পাবেন।
যশোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোকসিমুল বারী অপু জানান, একেতো ডিলাররা তাদের বরাদ্দের চাল-আটা বাইরে বিক্রি করে দেন। এবার বরাদ্দ কমার পর মানুষ আরও বঞ্চিত হবে। এজন্য সরকারকে নিয়মিত তদারকি করতে হবে ডিলার পর্যায়ে তারা যেন সঠিকভাবে মানুষদের মধ্যে চাল-আটা বিতরণ করে