কল্যাণ ডেস্ক
১৪ লাখ পিস ইয়াবা এবং এক কোটি ৭০ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ নগদ টাকা উদ্ধারের মামলায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসাথে, সাজাপ্রাপ্ত জহুরুল ইসলাম প্রকাশ ফারুক ও নুরুল আমিন প্রকাশ বাবুকে ৫ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড, দণ্ডিত আবুল কালামকে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে প্রত্যেককে আরও এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং শেখ আবদুল্লাহ (১৯) নামের একজন বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
চার্জ গঠনের ৫২ দিন পর বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল দেশের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ইয়াবার চালান জব্দ ও নগদ টাকা উদ্ধারের চাঞ্চল্যকর এই মামলাটির রায় ঘোষণা করেন। এছাড়াও উদ্ধার করা ২ বস্তাভর্তি নগদ এক কোটি ৭০ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ। তিনি এ রায়ে তাৎক্ষণিক সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তার আশা এ রায়ের মাধ্যমে মাদক কারবারিদের অনেকে ভয়ে সংশোধন হয়ে যাবেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ২টার দিকে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ (গোয়েন্দা বিভাগ) এর তৎকালীন ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী নেতৃত্বে একটি টিম কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী-খুরুশকুল সংযোগ সেতুর উত্তরে ভারুয়াখালী খাল থেকে একটি কাঠের তৈরি বোট আটক করে।
বোট থেকে জহুরুল ইসলাম প্রকাশ ফারুক ও নুরুল আমিন প্রকাশ বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং রোহিঙ্গা সৈয়দ আলম পালিয়ে যান। বোট তল্লাশি করে ৪২ কোটি টাকা মূল্যের ১৪ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
পরে তাদের স্বীকারোক্তি মতে, কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া ইয়াবা বিক্রির ২ বস্তাভর্তি নগদ এক কোটি ৭০ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা জব্দ করা হয়। সেখান থেকে আবুল কালাম এবং শেখ আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার