ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহে মধ্যরাতে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে মেহেদী হাসান (২৪) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ফয়লা মাস্টারপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী ওই এলাকার সফর আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় রাতেই নিহত মেহেদী হাসানের বন্ধু আকরাম হোসেনকে আটক করেছে কালীগঞ্জ থানা-পুলিশ। ঘটনার পর থেকে আকরামের ভাই সাদ্দাম হোসেন পলাতক রয়েছেন। আকরাম ও সাদ্দাম একই এলাকার তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে।
নিহত মেহেদীর মা সাবিয়া বেগম বলেন, তাঁর ছেলের ভিসা-পাসপোর্টসহ বিমানের টিকিট হয়ে গেছে। আর তিন দিন পর ছেলের মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা। তাঁর ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সাদ্দাম ও আকরাম তাঁর ছেলেকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
নিহত মেহেদীর স্ত্রী আকলিমা বেগম বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর স্বামী খাচ্ছিলেন। এ সময় একটি ফোন আসে। এরপর তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরই জানতে পারেন প্রতিবেশী আকরামের বাড়িতে তাঁর স্বামীর রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁদের একটি পাঁচ মাস বয়সী কন্যা সন্তান রয়েছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।