নিজস্ব প্রতিবেদক
পরম দয়ালু করুণাময় মহান আল্লাহ পাকের অসীম করুণাধারায় সিক্ত হয়ে সেই দৈনিক কল্যাণ আজ ৪১ বছরে পা রাখলো। এ জন্য আল্লাহর দরবারে শত-কোটিবার শুকরিয়া আদায় করছি। আমাদের পথচলা কন্টকাকীর্ণ না হয়ে কুসুমাস্তীর্ণ হোক, মহামহিম আল্লাহর কাছে কায়োমনবাক্যে এই প্রার্থনা করি।
আমাদের যাত্রা পাঠকদের নিয়ে। আমরা বিশ্বাস করি পাঠকরা পত্রিকার প্রাণশক্তি। প্রতিদিন যা নিয়ে একটি পত্রিকা প্রকাশ হয় তার প্রতি পাঠকের আগ্রহ সৃষ্টি হলে পত্রিকাটির স্থায়িত্ব হয় দীর্ঘ। এর বিপরীত হলে তার মৃত্যু আতুর ঘরে হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আমরা এও বিশ্বাস করি পাঠকের প্রত্যাশা অনুযায়ী তথ্যের দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে আগ্রহে ভাটা পড়বে। যার পরিণতি পত্রিকার জন্য শুভ নয়। আমরা তথ্যের প্রবাহ সৃষ্টিতে সংকল্পবদ্ধ।
স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তচিন্তা, প্রগতি, গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতাসহ মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও নাশকতার বিরুদ্ধে কল্যাণের অবস্থান আপোষহীন। এই লক্ষ নিয়ে আজ থেকে চার দশক আগে দৈনিক কল্যাণ প্রকাশিত হয়েছিল।
আমাদের স্লোগান ‘বস্তুনিষ্ঠতাই আমাদের অহংকার’ এর মধ্যে মূলত দৈনিক কল্যাণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য স্পষ্ট। আমরা বিশ্বাস করি দৈনিক কল্যাণ কোনক্রমেই বস্তুনিষ্ঠহীন সাংবাদিকতাকে প্রশ্রয় দেয় না। কোন ঘটনা ঘটলে তা যার বিরুদ্ধেই ঘটুক না কেন, ভাষার কারুকার্যতায় হৃদয়গ্রাহী করে পাঠকের কাছে পরিবেশন করা হয়। এতে বস্তুনিষ্ঠতা রক্ষা হয় বলে আমাদের বিশ্বাস। যেহেতু আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সেহেতু সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে একচোখা নীতি পরিহার করে চলা হবে। আমাদের নীতির আলোকে পরিবেশিত সংবাদে যার যতটুকু প্রাপ্য তাকে ততটুকু মূল্যায়ন করা হবে। পরিস্থিতি মূল্যায়নের দায়িত্ব পাঠকের। আমরা মনে করি এ ক্ষেত্রে পাঠক দক্ষ বিশ্লেষক।
সর্বোপরি যশোরের ইতিহাস-ঐতিহ্য, কৃষ্টি-কালচার, শিল্প-সাহিত্য, শিক্ষা-সংস্কৃতি, ক্রীড়া-বিনোদন, মানুষের দুঃখ-কষ্ট, হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, সমস্যা-সম্ভাবনার নিখুঁত চিত্র আঁকার চেষ্টায় নিয়ত সচেষ্ট থাকবে দৈনিক কল্যাণ। এ যাত্রায় পাঠক আমাদের সাথে আছেন, থাকবেনও- এ প্রত্যাশা আমাদের।