নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর সদরের হামিদপুরে বাড়ি ভাঙচুরের সাথে নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়ে আবারো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন। একই সাথে তার ছেলে পিয়াসের ঘটনাস্থলে উপস্থিত এবং জমির মালিকা দাবিদার আসাদুজ্জামান বৈধ কাগজপত্র দেখানো নিয়েও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। এই তিনটি ঘটনা প্রমাণ দেখাতে পারলে সাংবাদিকদের জন্য মোট ৪৫ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন মিলন। মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ২৭ জুন দুপুরে সদর উপজেলার হামিদপুর পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা আসাদুজ্জামানের বাড়িঘর এস্কেভেটর দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় তাকে ও তার ছেলের সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে লেখা হয়েছে, তাদের উপস্থিতিতে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ কোটি টাকার মালামাল লুট করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তার দাবি, প্রকৃতপক্ষে জমির মালিক তার বেয়াই বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম। আসাদুজ্জামান জোরপূর্বক তা দখল করে রেখেছেন। তারা নিজেরাই বাড়িঘর ভেঙে উল্টো তাদের দোষারাপ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল ইসলাম বলেন, কার্যত তিনি ওই জমির কোনো পার্ট নন। তার আত্মীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম ও নুর হোহাম্মদ ওই জমির প্রকৃত মালিক এবং তারা খাজনা ট্যাক্স দিয়ে চলেছেন। আর আসাদুজ্জামান ভূমিদস্যু। বয়বৃদ্ধ বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম মাস্টার ও নুর মোহাম্মদের পরিবারের লোকজনকে হেনস্তা করে ভয়ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন জবর দখলে আছে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, সাংবাদিকরা যদি প্রমাণ করতে পারে ২৭ জুন আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম তাহলে ২০ লাখ টাকা, আমার ছেলে ছিল প্রমাণ করতে পারলে ১৫ লাখ টাকা এবং যে জমি নিয়ে বিরোধ তার মালিক আসাদুজ্জামান তা প্রমাণ করতে পারলে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। ঘটনার ব্যাপারে তার ও তার ছেলের নাম জড়িয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় রিপোর্ট লেখা; এমনকি থানা পর্যন্ত অভিযোগ করা হয়েছে। মিথ্যাচারের একটি শেষ থাকে।
আসাদুজ্জামান পরিবারের সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান এটা ভুয়া। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য কিংবা সন্তান জুড়ে দিয়ে চরম মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হুমায়ুন কবির কবু, যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ হারুণ অর রশিদ, শহর আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব ফিরোজ খান ও সম্পত্তির প্রকৃত মালিক দাবিদার নুর মোহাম্মদ, নূরুল ইসলাম মাস্টারসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার হামিদপুর পশ্চিমপাড়ায় আসাদুজ্জামানের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে। পরে সংবাদ সম্মেলন করেও ভুক্তভোগী পরিবার ওই অভিযোগ প্রকাশ্যে আনেন।
