দুদকের মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
অবৈধভাবে প্রায় ৫৩ কোটি টাকা সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন করায় কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোওয়ার্ডিং এজেন্ট মো. শামসুর রহমানের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। তিনি বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি। রোববার দুদকের ঢাকা কার্যালয়ে মামলাটি করেন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। শামসুর রহমানের বিরুদ্ধে শুল্ককর ফাঁকিতে সহায়তা, শুল্ককর ফাঁকি, মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য খালাসসহ নানা আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, বেনাপোল কাস্টম হাউসের কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) শামসুর রহমানের প্রায় ৫৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। একইসঙ্গে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক এই সভাপতির বিরুদ্ধে প্রায় ৩৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগেরও প্রমাণ মিলেছে।
দুদকের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, শামসুর রহমান তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৩১ কোটি ২৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য প্রদর্শন করেন। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ে তার নামে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে মোট ৬৪ কোটি ৮০ লাখ ৮৮ হাজার টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। এছাড়া, পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় হিসেবে ২৯ কোটি ৩২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। সবমিলিয়ে তার সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৪ কোটি ১৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। অন্যদিকে, বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া গেছে মাত্র ৪১ কোটি ৩৯ লাখ ১৭ হাজার টাকা। ফলে ৫২ কোটি ৭৪ লাখ ৬৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
অন্যদিকে তিনি তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৩৩ কোটি ৫২ লাখ ৪১ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলেও দুদকের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে আসামির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
দুদক সূত্র আরও জানিয়েছে, দুদকের অনুসন্ধানে ওই সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের প্রাথমিক সত্যতা মেলায় তার বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন করা হয়েছে। দ্রুতই তার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা দায়ের ও তদন্তের আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে বলে দুদক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

 
									 
					