ঢাকা অফিস
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে জব্বারের মোড়ে রেলপথ অবরোধ করেছে। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের ডিগ্রিকে একীভূত করে একটি কম্বাইন্ড ডিগ্রি দেয়ার দাবিতে ২৫১ জন শিক্ষক কর্মকর্তাকে রোববার দিনভর অবরুদ্ধ করে রাখাকে কেন্দ্র করে বহিরাগতরা হামলা করে শিক্ষার্থীদের।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রোববার রাতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে। সোমবার সকাল ৯টার মধ্যে সকল ছাত্র-ছাত্রীকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।
পশুপালন অনুষদের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সোমবার সকালে আমরা ৬ দফার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কোনো সাড়া নেই। তাই বাধ্য হয়ে দাবি আদায়ে রেলপথ অবরোধ করেছি। প্রশাসন এসে আশ্বস্ত করলেই আমরা অবরোধ তুলে নেব।’
দাবিগুলো হলো- অবৈধভাবে হল ভ্যাকেন্টের নির্দেশনা বেলা দুইটার মধ্যে প্রত্যাহার করে আদেশ তুলে নিতে হবে, হলগুলোয় চলমান সব ধরনের সুবিধা (পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস) নিরবচ্ছিন্ন রাখতে হবে, এই প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর শিক্ষকদের মদদে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলার দায়ে প্রক্টরিয়াল বডিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দ্বারা ককটেল বিস্ফোরণ, লাইব্রেরি ও স্থাপনা ভাঙচুর, দেশি অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তার ঘটনার জন্য উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে, হামলার সঙ্গে জড়িত শিক্ষক ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে এবং এক মাস ধরে চলমান যে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে একক কম্বাইন্ড ডিগ্রি অবিলম্বে প্রদান করতে হবে, তিনটি ভিন্ন ডিগ্রি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া নিয়ে এককভাবে আমার কিছু করার নেই। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় সুন্দর সিদ্ধান্ত হয়েছিল, কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা না মেনে বিপথে হেঁটেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হল ছাড়ার নির্দেশনা না মেনে তারা আন্দোলন করছে। বিষয়টি এখন আমার নিয়ন্ত্রণে নেই, জেলা প্রশাসক যা ভালো মনে করবেন তা-ই হবে।’