২৭ ফেব্রুয়ারি শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের এয়ারফ্রেইট ইউনিট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গার্মেন্টস এক্সেসরিজের কার্টুনের ভেতরে অবৈধভাবে আনা ১১ কেজি ওজনের ৯৬ পিস সোনার বার উদ্ধার করেছে। এ সময় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। জব্দ করা সোনার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় আট কোটি টাকা। চীন থেকে আসা ফ্রেইট এলাকায় গার্মেন্টস এক্সেসরিজের কার্টুনের ভেতর থেকে এ সোনার চালানটি উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা হলো ফিরোজ আলম (২৫) ও নিয়ামতুল্লাহ (৪০)। তারা বিমানবন্দর কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) এজেন্টের কর্মী। এর আগেও এই বিমান বন্দরে সোনার চালান আটক হয়েছে।
চোরাচালনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কড়াকড়ি ব্যবস্থাও নিলেও তা থেমে নেই। বিভিন্ন কৌশলে এক শ্রেণির মানুষ এ অবৈধ কাজটি করেই যাচ্ছে। তাদের আচরণ দেখলে মনে হয় তারা সব কঠোরতাকে ড্যামকেয়ার ভাব দেখাচ্ছে।
সোনা চোরাচালানে মূল হোতারা থাকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তারা টাকার বিনিময়ে লোক দিয়ে পাচার করে।
চোরাচালান থেমে নেই এ জন্য বলছি যে, প্রায় শোনা যায় পাচার করার জন্য আনা সোনা ধরা পড়েছে। যারা এর সাথে জড়িত তারা এতটাই অপ্রতিরোধ্য যে বার বার ধরা পড়লেও তারা থেমে নেই। আমরা মনে করি অহেতুক চুনো পুটির পেছনে দৌঁড়িয়ে চোরাচালান দমনের কাক্সিক্ষত সফলতা পাওয়া যাবে না, যতক্ষণ না এর হোতাদের দমন না করা যাবে। যারা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে, মানুষের অকল্যাণে চোরাচালান ব্যবসা করেও সমাজের মধ্যমণি হয়ে হয়ে বসে আছে তাদের কালো হাত আগে ভাঙতে হবে। পালের গোদাকে সোজা করতে না পারলে অন্য কেউ সোজা হবে না। একজন ধরা পড়বে তো শতেকজন উদয় হবে। বেকার জীবনে লোভনীয় পারিশ্রমিকে কাজের সুযোগ পেলে তারা এদিকে ঝুঁকবেই। এ কারণে বিনিয়োগকারীদের পিঠে বাড়ি পড়লে চুনোপুটি চোরা ব্যবসায়ীদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাবে না। যদি পালের গোদারা নির্বিঘœ থাকে তা হলে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও চোরাচালান চলতে থাকবে। চোরাচালানীরাতো হিতাহিত জ্ঞান শূন্য মানুষ নামের অদ্ভুত প্রাণি। তারা চোরাচালান করতে গিয়ে ধরা পড়লে তাদের জীবন শেষ এ কথাটি তাদের মাথায় থাকে না। এ ক্ষেত্রে আমাদের কথা হলো চোরাচালানের শীর্ষের শক্তিকে আগে প্রতিহত করা হোক।