নিজস্ব প্রতিবেদক
জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগপত্র দিয়ে ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খুলনা সোনাডাঙ্গার মেট্রোপলিটন কলেজের অধ্যক্ষসহ চারজনের নামে যশোর আদালতে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার যশোরের চৌগাছার দেবিপুর গ্রামের আলশাদ আলীর ছেলে আল আমিন এই মামলাটি করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডি পুলিশ যশোরকে আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন পাপ্পু।
আসামিরা হলেন, খুলনা সোনাডাঙ্গার মেট্রোপলিটন কলেজের অধ্যক্ষ দিবাকর বাওয়ালী, কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য আলী হোসেন বাবু, রোকেয়া বেগম ও হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শেখ মোস্তাফিজুর রহমান হিরু।
এর আগে একই অভিযোগে যশোর সদরের দেয়াড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আলাল উদ্দিন বাদী হয়ে ওই আসামিদের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে আরো একটি মামলা করেছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের খুলনা মেট্রোপলিটন কলেজে বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। যশোর বিএড কলেজের কর্মচারী এনামুল হকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন ভুক্তভোগী আল আমিন। তিনি সেমিনার কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে আবেদন করেন এবং আসামিদের সাথে পরিচিয় হয়। আসামিরা ওই পদে চাকরির জন্য তার কাছে ৮ লাখ টাকা দাবি করেন। ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর এনামুলের বাসায় এসে চাকরির নিশ্চয়তা দিয়ে আসামিরা তার কাছ থেকে ৮ লাখ নিয়ে যান। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে নিয়োগপত্র পেয়ে তিনি ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল কলেজে যোগদান করেন। এ সময় হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে চাইলে আসামিরা স্বাক্ষর করতে দেয় না। তিন মাস পরে বেতন হলে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করবে বলে তাকে বুঝিয়ে দেন আসামিরা। তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পরে বেতন না হলেও আসামিদের কথায় তিনি চাকরি করতে থাকেন। এভাবে এক বছর অতিবাহিত হলেও বেতন না হওয়ায় তার সন্দেহ হয়। এরপর তিনি শিক্ষা বোর্ড ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন এ পদে কোন নিয়োগ হয়নি। আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে জালিয়াতি করে ভুয়া নিয়োগ পত্র দিয়ে তার কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে তিনি বুঝতে পারেন। গত ১ ডিসেম্বর আসামিরা আলামিনের বাড়িতে আসলে তাদের কাছে চাকরির জন্য দেয়া ৮ লাখ টাকা ফেরত চাইলে দিতে অস্বীকার করেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এই মামলা করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করেছেন।