কল্যাণ রিপোর্ট : যশোরের বহুল বিতর্কিত ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং মাতৃসেবা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ অনুমোদন সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় বিভিন্ন অপরাধে স্বত্ত্বাধিকারী মর্জিনা খাতুনকে ৫০ হাজার টাকা এবং মাতৃসেবা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাগজপত্র নবায়ন না করায় স্বত্ত্বাধিকারী ডাক্তার মোজাম্মেল হককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান চলাকালে ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কোনো চিকিৎসকতো দূরের কথা, নিবন্ধিত কোনো সেবিকাও ছিল না। নোংরা প্যাথলজি কক্ষে টেকনোলজিস্ট হিসেবে যিনি ছিলেন তারও কোনো অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি নেই। অথচ, তিনি দিব্যি রোগীদের প্যাথলজিকাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করছেন।
সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, বেসরকারি ডায়াগনস্টিক বা হাসপাতাল পরিচালনা করতে গেলে বিধি মোতাবেক চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট ৩৬ ধরনের যন্ত্রপাতির দরকার হয়। তিন-চারটি ছাড়া বলতে গেলে এসবের কিছুই নেই ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। অনুমোদনহীন এমন প্রতিষ্ঠান বন্ধে স্বাস্থ্যবিভাগের অভিযান চলমান থাকবে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কোনো স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান চলতে দেয়া হবেনা।
অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রেহেনেওয়াজ রনি, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রক) নাসিম ফেরদৌস, ভ্রাম্যমাণ আদালতের পেশকার শেখ জালাল উদ্দীনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।