শাহারুল ইসলাম ফারদিন
উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী যশোর জেলা সংসদের উদ্যোগে শুক্রবার পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। পিঠা উৎসব অনুষ্ঠান বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের উপস্থিতিতে মিলনমেলায় পরিণত হয়। হরেক রকমের পিঠায় অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়। শহরের ইট কাঠের খাঁচায় পিঠার সঙ্গে মানুষের দূরত্ব ঘোচাতে উদীচীর পিঠা উৎসবের আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে হরেক রকমের পিঠার স্বাদ গ্রহণ করেছেন সব বয়সী, সব শ্রেণি পেশার মানুষ। এসময় শহরের রাঙ্গামাটি গ্যারেজ সংলগ্ন ২০ বছর যাবৎ পিঠা বানিয়ে জীবিকা নির্বাহকারী জহিরুন্নেসাকে স্মারক ও শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উদীচী চত্বরে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। বিকেলের পর থেকে উদীচী চত্বরে আসতে থাকে জনসাধারণ। অনুষ্ঠান শুরুর আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় উদীচী প্রাঙ্গণ। সংগীত, নৃত্য, পিঠার গান, পুথি পাঠ ও বাউল গানের পাশাপাশি অতিথিদের শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানে রূপ নেয় পিঠা উৎসব। অনুষ্ঠানে জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও উদীচীর যশোর জেলা সংসদের সভাপতি তন্দ্রা ভট্টাচার্য্যরে সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, উদীচীর যশোর জেলা সংসদের উপদেষ্টা ও দৈনিক কল্যাণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা একরাম-উদ-দ্দৌলা, মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাবিবা শেফা প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উদীচীর যশোর জেলা সংসদের উপদেষ্টা ও জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, বিশিষ্ট কলামিস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম রন্টু, বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, অ্যাড. শাহিনুর রহমান শাহিন, সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান হিরু, আব্দুল আফনান ভিক্টর, শেখর দেবনাথ, রজিবুল ইসলাম টিলন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন সদস্য লুবনা আফরোজ পাপ্পু। নৃত্য, সংগীত পিঠার গান, পুথি পাঠ, বাউল গান ও বক্তব্য শেষে শীতের রকমারি পিঠা অনুষ্ঠানে আগতদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, উদীচী যশোরের পিঠা উৎসব উপলক্ষে সকল বয়সী মানুষের উপচেপড়া ভিড়। সাথে বিভিন্ন সাজে ছোট ছোট সোনামনিরা ছিল। গান ও নৃত্যের মধ্যে মুখরিত পুরো উৎসব একপাশে ছোট চুলা জ্বালিয়ে গ্রাম্য পদ্ধতিতে তৈরি করা হচ্ছে হরেক রকমের পিঠা। পিঠার মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে পুরো আঙ্গিনা। সব মিলিয়ে শীতের সন্ধ্যায় জমে উঠে এই পিঠা উৎসব।
উদীচী আঙ্গিনায় পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত অক্ষর শিশু শিক্ষালয়ের শিক্ষিকা রুবাইয়াত সুলতানা মিথিলা বলেন, আমরা গ্রামের হারানো সকল পিঠা তৈরি করছি। ঝাল পিঠা, চিতই পিঠা, পাঠিসাপটা, পাকান পিঠা, চালের গুড়া ও খেজুরের গুড় মিশিয়ে ভাপা পিঠা বানাচ্ছি উৎসবে পিঠা বানাতে যে মজা লাগছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।
আরও পড়ুন: ২০২২ এ ৫৩২ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা