কল্যাণ ডেস্ক
সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গত সোমবার এক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৩ বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রী নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ২৪ ওমরাহ যাত্রী নিহত ও ২৩ জন আহতের খবর এসেছে। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ কথা জানান।
নিহতরা হলেন যশোর জেলার কাওসার মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ নাজমুল ও ইসকান্দারের ছেলে রনি, নোয়াখালী জেলার সেনবাগের শরীয়ত উল্লার ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরের আব্দুল আউয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, একই এলাকার রাসেল মোল্লা, নোয়াখালী জেলার মোহাম্মদ হেলাল, লক্ষ্মীপুর জেলার সবুজ হোসেন, কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর মো. আসিফ ও সিফাত উল্লাহ, গাজীপুর জেলার আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসেন রনি, চাঁদপুর জেলার কালু মিয়ার ছেলে রুক মিয়া, কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বারের গিয়াস হামিদ এবং কক্সবাজার জেলার মোহাম্মদ হোসেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন জানান, বাসটি ৪৭ জন ওমরাহ যাত্রীকে মক্কায় নিয়ে যাচ্ছিল এবং তাদের মধ্যে ৩৫ যাত্রী ছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক। ১৩ জন নিহত ছাড়াও এখনও পর্যন্ত আরও ৫ জন বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে তারা সবাই মৃত কিন্তু তাদের মরদেহ পুড়ে যাওয়ায় শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
সোমবার বিকাল ৪টার দিকে জেদ্দা থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরে সৌদি আরবের আসির প্রদেশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ব্রেক ফেইল হওয়ার পর বাসটি একটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায় এবং আগুনে পুড়ে যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লাশ পুড়ে যাওয়া ও বিকৃত হওয়ার কারণে জাতীয়তা নির্ণয় করা খুবই কঠিন।
জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্ঘটনায় পতিত বাংলাদেশিদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে কনস্যুলেটের একটি দল পাঠানো হয়েছে। জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের দুই কর্মকর্তা ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হতাহতদের সনাক্তকরণ ও বাংলাদেশে তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাদের স্বজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছে এবং হতাহতদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাস দুর্ঘটনায় ২৪ জন ওমরাহযাত্রী নিহত ও প্রায় ২৩ জন আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় তিনি নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও সৌদি মিশনের কর্মকর্তাদের বাংলাদেশি নাগরিকদের মরদেহ উদ্ধার এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন:বাস দুর্ঘটনায় সৌদিতে ২০ ওমরাহ যাত্রী নিহত, আহত ২৯
