স্বাস্থ্য ডেস্ক: শরীরের ব্যায়ামের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যাম বাইসাইকেল। স্বাস্থ্য সচেতনায় নিয়মিত সাইকেল চালানো উচিত। রোজ নিয়ম করে আধা ঘণ্টা তীব্রগতিতে সাইকেল চালালে বিপাক হার অত্যন্ত বেড়ে যায়। ক্যালরির খরচ বেশি হয়। ফলে শরীরের মেদ ঝরতেও সময় লাগে না।
যারা সাইকেল চালাতে ভালোবাসেন, তারা সময় সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়েন। কেউ শখে কেউবা আবার কাজের প্রয়োজনেই রোজ সাইকেল চালাতে বাধ্য হন। কিন্তু সাইকেল চালানো শরীরের ওপর কেমন প্রভাব ফেলে জানেন কি?
‘সুরক্ষিত বিশ্ব, নিশ্চিত স্বাস্থ্য’ স্লোগানে আজ বৃহস্পতিবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। ১৯৪৮ সালের আজকের দিনেই প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেই হিসাবেই আজকের এই দিবস। স্বাস্থ্য সুস্থ ও সবল রাখতে প্রয়োজন নিয়মিত ব্যায়াম করা। আর ব্যায়ামের জন্য সবচেয়ে উপকারী বাহন সাইকেল চালানো।
শরীরের মেদ ঝরাতে ভারী শরীরচর্চা থেকে শুরু করে কত রকম ডায়েট আমরা করে থাকি। অথচ শুধু সাইকেল চালিয়েই শরীরচর্চাসহ ওজন কমানো সম্ভব!
ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজ নিয়ম করে আধা ঘণ্টা তীব্রগতিতে সাইকেল চালালে বিপাক হার অত্যন্ত বেড়ে অনেক বেশি ক্যালরি খরচ হয়। ফলে শরীরের মেদ ঝরে যায়।
চিকিৎসকদের মতে, সাইকেল চালানো খুব উপকারী একটি শরীরচর্চা। এই অভ্যাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, ফলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমে এবং শরীরের রক্ত সঞ্চালনও ভালো হয়। এমনকি নিয়মিত সাইকেল চালালে ক্যানসারের মতো রোগের ঝুঁকিও অনেকটা কমে যায়।
শুধু শরীরের নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতেও এই অভ্যাসটি দারুণ কার্যকর। অল্প বয়স থেকেই ইদানীং মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছে মানুষ।
করোনার থাবায় প্রায় দুটি বছর আমরা গৃহবন্দি ছিলাম। একাকিত্ব, মানসিক চাপ, উদ্বেগ যেন কমবেশি সবাইকে ঘিরে ধরেছে। নিয়মিত সাইকেল চালানোর অভ্যাস গড়ে তুললে মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি সম্ভব।
সাইকেল সাধারণত শিশু ও তরুণরাই ব্যবহার বেশি করে। তবে ইদানীং ৩০-৪০ বছর বয়সীদের মধ্যেও সাইকেল কেনার চাহিদা বেড়েছে। মানুষ এখন বেশ স্বাস্থ্য সচেতন। তাই আজ ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’-এ শরীরের প্রতি একটু বেশি যত্ন নেওয়ার পরিকল্পনা করা যেতেই পারে।