কল্যাণ ডেস্ক
আগামী মাসগুলোতে চালের দাম কমে আসবে বলে মনে করছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। জিইডির ইকোনমিক আপডেট অ্যান্ড আউটলুক-সেপ্টেম্বর প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। গতকাল বুধবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়, ২০২৫ সালে মোট ১০ লাখ ৭০ হাজার টন বোরো সংগ্রহ করা হয়েছিল। ২০২৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারের খাদ্যশস্য সংগ্রহের পরিমাণ ১০ লাখ ৮২ হাজার টনে পৌঁছেছে। গত মাসে সরকার চালের বাজার স্থিতিশীল করার অংশ হিসেবে শুল্কমুক্তভাবে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। ১২ আগস্ট থেকে বেসরকারি আমদানিকারকরা সরকারের অনুমোদন পাওয়ার পরপরই আমদানি শুরু করে। বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে চার মাস পর পুনরায় চাল আমদানি শুরু হয়। এদিকে গত ১ জুলাই থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার টন চাল বিতরণ করা হয়েছে, যা আগে ছিল তিন লাখ ১১ হাজার টনের মতো। অর্থাৎ আগের চেয়ে চাল বিতরণ অনেক বেড়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চালের মূল্যস্ফীতি ছিল দুই অঙ্কের ঘরে। এ বছরের গত জুন মাসে তা ১৫ দশমিক ৫২ শতাংশে পৌঁছে। মাঝারি মানের চাল ছাড়া টানা তিন মাস সব ধরনের চালের মূল্যস্ফীতি ১৫ শতাংশেরও বেশি। আগস্টে মাঝারি মানের চালের মূল্যস্ফীতি ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ ছিল, যা আগের মাসে ছিল ১৫ দশমিক ৩২ শতাংশের তুলনায় কিছুটা কম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বোরো ধানের ভালো ফলনে জুন থেকে চালের দাম কমে আসার যে প্রত্যাশা ছিল, বাজারে তার কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি। এ পরিস্থিতিতে চালের উৎপাদন, চাহিদা এবং মজুতের সঠিক পর্যবেক্ষণ থাকলে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারত। তবে জুলাইয়ের শেষের দিকে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়। জুলাই মাসের শেষের দিকে প্রচেষ্টা চালানো সম্ভব হয়নি।
প্রতিবেদনে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে আসার ইঙ্গিত দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, আগের মাসের তুলনায় কমতে শুরু করেছে। সার্বিক অর্থনীতি সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, বহিস্থ খাতে উন্নতির ইঙ্গিত রয়েছে। রেমিট্যান্সও কিছুটা বেড়েছে। মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রয়েছে। এ ছাড়া রপ্তানি আয়েও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা রয়েছে।