নিজস্ব প্রতিবেদক
স্থানীয় আধিপত্য ও এলাকার ছাত্রাবাস নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে রিপনকে খুন করা হয়েছে। গতকাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য দিয়েছেন ফরিদ হোসেন নামে এক আসামি। ফরিদ হোসেন যশোর শহরের খড়কি পীরবাড়ি এলাকার শামসুর রহমানের ছেলে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে যশোর শহরের মুজিব সড়কে ছুরিকাঘাতে খুন হন তিনি। পেশায় তিনি লেদ মিস্ত্রি।
ফরিদ হোসেন জানিয়েছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে লোক হাজির করা নিয়ে রিপনের সাথে এলাকার অনেক লোকেরই বিরোধ চলে আসছিল। যে কারণে রিপনের ভয়ে অনেকে এলাকা ছাড়া ছিল। ঘটনার দিন ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে ফরিদ, সাকলাইন, ইমন, রানা, বিল্লাল, হাসিব, দেলো ও পিচ্চি রাজাসহ কয়েকজন মুজিব সড়কে ছিল। এসময় রিপন, মুস্তাক, বিপুল ও লিপটন তাদের ধাওয়া করে। রিপন তাদের মধ্যে থেকে একজনকে ছুরিকাঘাত করে। সেই ছুরিকাঘাতের পাল্টা হিসেবে রিপনকেও ছুরিকাঘাত করা হলে তিনি নিহত হন। ঘটনার পর ফরিদ, বিল্লাল ও সাকলাইন একসাথে সাতক্ষীরার দিকে চলে যায়। সাকলাইন পথিমধ্যে কলারোয়ায় তার আত্মীয় বাড়ি নেমে যায়। ফরিদ সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার মাছরাঙ্গা গ্রামের মামা বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ফরিদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পেরে গত ২৪ অক্টোবর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে। এসময় রিপন হত্যাকা-ে ব্যবহৃত ফরিদের কাছ থেকে একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। যশোর এনে গতকাল বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হলে হত্যার তথ্য দিয়ে এদিনই আদালতে জবানবন্দি দেয়।
এই মামলার পলাতক অন্য আসামিরা হলো, গাড়িখানা রোডের হাসিব, রেলগেট পশ্চিমপাড়ার দেলোয়ার হোসেন দেলু, খড়কী এলাকার সাকলাইন, বিল্লাল, রেলগেট এলাকার পিচ্চি রাজা, রানা, রেলগেট এলাকার মনি সাগর, খড়কীর জিসান এবং ঘোপ আরিফ।