নিজস্ব প্রতিবেদক
হাইড্রোলিক হর্ন বাজিয়ে শব্দ দূষণ করা যশোরের ৯টি যানবাহনকে জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। বুধবার দুপুরে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবসে যশোর সদরের খয়েরতলায় যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়। এ সময় ওই গাড়িগুলো থেকে হাইড্রোলিক হর্ন খুলে নেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর যশোরের সহকারী পরিচালক হারুণ-অর-রশিদ জানান, হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করে সড়ক ও মহাসড়কে প্রতিনিয়ত বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য গাড়ি চলাচল করছে। হাইড্রোলিক হর্ন থেকে ১২০ ডেসিবল পর্যন্ত শব্দ ছড়ায়। মানুষের জন্য শ্রবণযোগ্য শব্দের সহনীয় মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। এ বিষয়ে গাড়ির মালিক, চালকদের অবহিত করা হচ্ছে। এরপরও অনেকে আইন অমান্য করছে। বুধবার হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করে শব্দ দূষণ করা ৫টি বাস ও ৪টি ট্রাক থেকে ৪ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা যশোর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিল্লোল চাকমা জানান, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০০৬ এর ৬ ও ৭ ধারা লংঘন করায় ৯টি যানবাহনকে জরিমানা ও হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া আরো ১৫ থেকে ২০টি গাড়ির চালককে সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে, গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবসে শব্দ দূষণ বিষয়ে সচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর যশোরের আয়োজনে আলোচনা সভা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস। পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নুর আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক বিল্লাল বিন কাশেম, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক এসএম মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, শব্দদূষণ একটি নীরব ঘাতক। সাধারণভাবে শব্দের মানমাত্রা ৪০ থেকে ৪৫ ডেসিবেল। তার চেয়ে বেশি মাত্রার শব্দ মানুষের শ্রবণশক্তি লোপ, হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করে। আর হাইড্রোলিক হর্ন ১২০ ডেসিবেলের বেশি মাত্রার শব্দ সৃষ্টি করে। শব্দদূষণ সৃষ্টিতে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যাপকভাবে দায়ী। হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করতে হলে এটা যে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, এই বিষয়টি সবাইকে বোঝাতে হবে। বিশেষ করে যানবাহনের মালিক ও চালকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে।