নিজস্ব প্রতিবেদক: ময়লা আবর্জনা পচে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। টয়লেট-বাথরুমেরও করুণ অবস্থা। উপচানো মল-মূত্র ছড়িয়ে থাকে। দেখভালের অভাবে নোংরা আবর্জনার ডিপোয় পরিণদ হয়েছে যশোর জেনারেল হাসপাতাল। এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা নিতে এসে অন্য রোগে আক্রান্তের আশঙ্কা করছেন রোগী ও স্বজনরা।
দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতাল ওয়ার্ডের টয়লেট, ভেতরে ও বাইরের পরিবেশ এরকম দুর্গন্ধময় ও নোংরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এদিকে কারোর নজর নেই। ফলে রোগিদের সুস্থ হতে যেমন বেশি সময় লাগছে তেমনি এরকম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রোগির সাথে থাকা স্বজনরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
হাসপাতালের মহিলা ইয়োলো জোনের সামনে করোনা পরীক্ষা ও স্যাম্পল কালেকশন বুথে ঢোকার মুখের পরিবেশ প্রচন্ড রকমের নোংরা। সেখানে ময়লা আর্বজনার স্তুপ জমে আছে। টয়লেটের সেপ্টিক ট্যাংকের পাইপ লিকেজ থাকায় ড্রেনে সরাসরি মলের দুর্গন্ধযুক্ত নোংরা পানিতে সয়লাব। দুর্গন্ধে নাক চেপে চলাচল করছেন চিৎিকসা সেবা নিতে আসা মানুষজন ।
গতকাল সকালে উপশহর থেকে করোনা টেস্ট করাতে আসা মরজিনা নামের এক নারী জানান, মাস্ক পড়ে থাকলেও দুর্গন্ধে খুবই কষ্ট হচ্ছে তার। হাসপাতালে মহিলা ইয়োলো জোনে ভর্তি থাকা সদরের হামিদপুরের ফওজিয়ার সাথে অবস্থানরত মিনা খাতুন জানান, এখানে এতো দুর্গন্ধ যে, সুস্থ লোকও অসুস্থ হয়ে পড়বে। গতকাল থেকে আছি, সামনের দিক থেকে খুব দুর্গন্ধ আসছে, খুব কষ্ট পাচ্ছেন। মোল্ল্যাপাড়ার ইব্রাহিম জানান, হাসপাতালের আশেপাশে খুবই নোংরা। এমনিতেই জ্বর নিয়ে এসছেন। আশেপাশে তাকালে বমি আসার উপক্রম হচ্ছে তার। প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রবেশের মুখেই রয়েছে ময়লা আবর্জনার স্তুপ। যা থেকে প্রচন্ড দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বলে জানান, নাসরনি পারভীন নামে এক রোগির স্বজন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে, ফ্লু কর্নারের পিছনে ও মর্গের সামনে ময়লা আবর্জনা ভর্তি। দীর্ঘদিন ধরে এসব আবর্জনা পরিস্কার না হওয়ায় হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আবার এসব নোংরা আবর্জনাময় ড্রেনে মশার জন্ম ও উপদ্রব বাড়ছে। মশার উপদ্রবের কারণে ওয়ার্ডের রোগী ও স্বজনেরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
ওয়ার্ড মাস্টার ওবাইদুল ইসলাম কাজল বলেন, এতবড় হাসপাতালে মাত্র ৩০ জন সুইপার, সব দিক পরিস্কার রাখা সম্ভব হয় না।
হাসপাতালের তত্ববধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান বলেন, ইয়োলো জোনের সামনে ময়লা আর্বজনার বিষয়টি আমার জানা ছিল না খুব দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।