নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ‘১১ জুন শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি নয়, গণতন্ত্রেরও মুক্তি দিবস। আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের এই দিন দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর মুক্ত হন। এ দিনটি প্রকৃতপক্ষে শুধু শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস নয়, গণতন্ত্রেরও মুক্তি দিবস। শেখ হাসিনা সারা জীবন ধরে গণতন্ত্রের জন্য ও মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। যেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যাকে বন্দি করা হয়েছিল, সে দিন শুধু তাকেই নয়, গণতন্ত্রকেও বন্দি করা হয়েছিল। রোববার বিকালে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্জন নস্যাৎ করতে দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আওয়ামী লীগই একমাত্র দল, যারা বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণের চিন্তা করে। বাকি সব লুটেরার দল। তারা এ দেশের মানুষের কল্যাণের চিন্তা করে না।
শেখ হাসিনার সরকারের নানা উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, তলাবিহীন ঝুড়ি বলে যে দেশকে সবাই অবজ্ঞা করতো; সেই দেশকে শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে আজ উন্নত দেশে পরিণত হয়েছে। সময়ে সঙ্গে সঙ্গে দেশকে তিনি নিয়ে যাচ্ছে অনন্য উচ্চতায়। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশ হবে স্মার্ট আধুনিক সোনার বাংলাদেশ।
বিএনপিকে সমালোচনা করে শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘নির্বাচন আসলে বিএনপি ও স্বাধীনতার বিরোধী চক্রদের নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়। সেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে মিথ্যাচার করছে বিএনপি। বিএনপি যতই মিথ্যাচার করুক সেখানে জনসম্পৃক্ততা নেই। আগামী নির্বাচনে জনগণ আবারও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনবে। জনগণকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দিবে। সবাই সময় এসেছে ঐক্যবন্ধ হওয়ার। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে কেউ পরাজিত করতে পারবে না।
জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির, আইন বিষয়ক সম্পাদক গাজী আব্দুল কাদের, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ আতিকুর রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, এস এম মাহমুদ হাসান বিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোস্তফা আশিষ দেবু, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল, পৌর আওয়ামী লীগনেতা রবিউল ইসলাম শাহীন, ফিরোজ খান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি এস এম নিয়ামত উল্লাহ, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহমিদ হুদা বিজয়। এসময় বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরআগে, জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ মিছিলসহকারে উপস্থিত হয় দলীয় কার্যালয়ে।