নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট যশোর জেলা পর্যায়ের দ্বিতীয় ম্যাচে লজ্জার রেকর্ড করেছে আব্দুস সামাদ মেমোরিয়াল একাডেমি। মঙ্গলবার শামস্-উল-হুদা স্টেডিয়ামে যে কোন পর্যায়ের স্বীকৃত ক্রিকেটে ২০ রানে অল আউট হয়ে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়েছে। সর্বশেষ আসরের রানার্সআপ কালেক্টরেট স্কুল ৪১৩ রানের সংগ্রহ করে রেকর্ড ৩৯৩ রানের জয় পেয়েছে।
সোমবার উদ্বোধনী ম্যাচে যশোর শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ ৩১৮ রানের বড় জয় পেয়েছিল। তাদেরকে পেছনে ফেলে এক দিনের ব্যবধানে ৩৯৩ রানে জয় পেয়েছে কালেক্টরেট স্কুল। জেলার ক্রিকেট ইতিহাসে রানের দিক দিয়ে এটিই সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ড। আর সর্বনি¤œ দলগত ২০ রানের রেকর্ডের মালিক এখন আব্দুস সামাদ মেমোরিয়াল একাডেমি।
যদিও টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরে যায় কালেক্টরেট স্কুলের ওপেনার নওশান রহমান। পরের ওভারে আর এক ওপেনার আহসান হিমেলও প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়ে দারুন শুরু পায় আব্দুস সামাদের বোলাররা। কালেক্টরেট স্কুলের দলীয় অধিনায়ক মেহেদি আপন ও রায়হান রুপেশ ৮৭ রানে জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় প্রতিরোধ করে। এরপর পাল্টা আক্রমন করে লিখন ও রবিউল। তাতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ৪১৩ রান করে কালেক্টরেট স্কুল।
এদিন ক্রিকেটের এই লড়াইয়ে আলোকিত হয়েছেন কালেক্টরেট স্কুলের লিখন, রবিউল, মেহেদী আপন ও সেতু। লিখন ১০৬ বলে ১০টি চারে অপরাজিত ১০৭, রবিউল ৯৫ বলে ১৪টি চার ও তিনটি ছয়ে ১৩১ ও মেহেদী আপন ৪৬ বলে ১১টি চার ও তিনটি ছয়ে ৭৩ রান করেন। কালেক্টরেট স্কুলের ব্যাটিং ইনিংসে অন্যান্য ব্যাটারদের মধ্যে জিহান রূপেস ৪১ বলে ছয়টি চার ও একটি ছয়ে ৩৪ ও আসিফ মাহমুদ ১৩ বলে নয় রান করেন।
আব্দুস সামাদ স্কুলের নিত্য রায় ৪৮ ও আরিয়ান ৭৭ রানে নিয়েছেন দু’টি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন রায়হান মোল্লা ও সামিউল সিয়াম।
জবাবে নেমে ১০ ওভার চার চলে মাত্র ২০ রানে গুটিয়ে যায় আব্দুস সামাদ মেমোরিয়াল স্কুলের দলগত ইনিংস। তাদের কেউ দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে পারে। তাদের আরজু রাব্বি ৩, রায়হান মোল্লা ১, হাসিন মুহিব ২, আরিয়ান ০, রাকিব খান ৪, অন্তু ০, সিয়াম ০, আদিত্য রায় ১, মারুফ ১, লাবিব হাসান ০ ও কাকন মিয়া আউট হয়েছেন ০ রানে। অতিরিক্ত হতে তাদের সংগ্রহ আট রান। অর্থাৎ দলের ১১ জন ব্যাটার মিলে করেছেন ১২ রান।
কালেক্টরেট স্কুলের সেতু পাঁচ ওভার চার বল করে ১৩ রানে নিয়েছেন পাঁচটি উইকেট। এছাড়া মারুফুল দুই ও সাদমান চার রানে নিয়েছেন দু’টি করে উইকেট।