নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের সাংস্কৃতিক সংগঠন আশাবরী সঙ্গীত নিকেতন ১৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গুণীজন সংবর্ধনা দিয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় শহরের ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে সাংস্কৃতিক চর্চায় অবদান রাখায় ১৩ ব্যক্তিকে গুণীজন সম্মাননা দেয়।
গুনীজন সংবর্ধনা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হারুন অর রশীদ, নজরুল গবেষক এইচ এম সিরাজ, সঙ্গীতজ্ঞ জহিরুল ইসলাম জাকি, কবি ও কথাসাহিত্যিক সুভাষ বিশ্বাস, সঙ্গীতজ্ঞ কামরুজ্জামান আজাদ, সঞ্চালিকা ও বাচিকশিল্পী নন্দিনী লাহা, বচিকশিল্পী রঞ্জনা কর্মকার, কবি ও গীতিকার ড. শাহনাজ পারভীন, নৃত্যপরিচালক মো. হায়দার আলী, সংস্কৃতিবান্ধব সাদা মনের মানুষ মো. খায়রুল বাশার, সঙ্গীতশিল্পী অভিতাভ দাস ভোলা, তবলাশিল্পী সুশান্ত সরকার মনি এবং কবি ও লালন গবেষক সাইফুদ্দিন সাইফুল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার যশোরের উপ পরিচালক রফিকুল হাসান এসব গুণীজনদের হাতে সম্মাননা ক্রেস তুলে দেন। এসময় তিনি বলেন, ‘যশোর জেলা সাংস্কৃতিক বান্ধব জেলা। এই জেলাকে সাংস্কৃতিক জেলা বলা হয়; শুদ্ধ সাংস্কৃতিক, সকল নির্যাতন নিপীড়নের বিরুদ্ধে এখানকার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা কথা বলেন। একটি সংগঠন গড়ে তোলা সহজ। তবে টিকিয়ে রাখা কঠিন। আশাবরী সংগঠন ১৯ বছর পার করেছে। আশাবরী সংগীতকে লালন করে। ধর্মান্ধ থেকে সরে এসে সুখী সমৃদ্ধ বাংলা গড়ার চেষ্টা করবে। সকল ধরণের অন্যায়, শোষণ নির্যাতন নিপীড়নের বিপক্ষে তারা কথা বলবে। অনুষ্ঠানে বক্তারা আশাবরীর আগামী দিনের পথচলা আরো সমৃদ্ধ হবে এ কামনা করে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রকাশ করেন।
আশাবরী সংগীত নিকেতন’র সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক এনামুল কবীরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক কল্যাণ প্রকাশক ও সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা একরাম-উদ- দ্দৌলা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দীপংকর দাস রতন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাধন দাস, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ এন এম মামুন শাহরিয়ার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আশাবরী সঙ্গীত নিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা ড. সবুজ শামীম আহসান। আলোচনা শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। নাচে গানে এক অন্যরকম সন্ধ্যা উপভোগ করেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও দর্শনার্থীরা।