কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি: খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে ইউপি সচিব ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মারধরের মামলা করার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় আরও তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হোসেন জানান, দুপুরে দেয়াড়া গ্রামের বাড়ি থেকে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এলাকাবাসী জানায়, গত ২১ মার্চ সন্ধ্যায় ইউপি সচিবকে তার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে পরিষদের কক্ষে আটকে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের বিচার দাবিতে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিন তিন দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা করে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি মো. ইকবাল হোসেন সচিব হিসেবে মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে চেয়ারম্যান তাকে রাতে অফিস করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। চেয়ারম্যানের অনুরোধে মাঝে মধ্যে তিনি রাতে অফিস করেছেন। ঘটনার দিন শরীর খারাপের কারণে বিকেল ৫টার পর তিনি বাড়িতে চলে যান। সন্ধ্যা ৬টার দিকে চেয়ারম্যান প্রথমে তাকে ফোন করে অফিসে আসতে বলেন। অসুস্থ্যতার কারণে যেতে পারবেন না বলার পর একটি মোটরসাইকেলে দুই জনকে পাঠিয়ে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে দরজা বন্ধ করে চেয়ারম্যান ও ৩ জন তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এতে তার ডান হাতের একটি আঙুল ও বাম হাতের কবজির উপরে ভেঙে যায়। খবর পেয়ে তার পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় চেয়ারম্যান তার কাছ থেকে জোরপূর্বক মুচলেকা লিখে নেয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় মামলা করতে দেরি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন বাদী।