নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদুল আযহা ঘিরে যশোর শহরে ঘরমুখো মানুষের চাপ ও শহরের যানজট নিরসনে কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা। কোরবানির পশুর হাট ও কেনাকাটার ভিড় বেড়ে যাওয়ায় যানজট পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে যশোর ট্রাফিক বিভাগ। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়, বাজার এলাকা ও বাসস্ট্যান্ডগুলোকে কেন্দ্র করে বাড়ানো হয়েছে ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি।
ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ অন্যান্য বারের ন্যায় এবার ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকেই অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন, বিশেষ ডিউটি রোস্টার, বিকল্প রুট প্ল্যান এবং অস্থায়ী ট্রাফিক চেকপোস্ট চালু রাখা হয়েছে। শহরের দড়াটানায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করে সেখান থেকে পুরো শহরের যানবাহন চলাচল মনিটরিং করা হচ্ছে।
যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহানের নির্দেশে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা নিরলসভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। ঈদকে ঘিরে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে শহর বিভিন্ন ধরনের যানবাহন শহরে প্রবেশ করে হাজার মানুষ। সেই চাপে শহরে যানজট বৃদ্ধি পায়। আর এ কারণে শহরে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। বিশেষ করে বড়বাজার, নিউমার্কেট, চৌরাস্তা, দড়াটানা, হাসপাতাল মোড়, জেস টাওয়ার, মুজিব সড়ক, সিভিল কোর্ট মোড়, কালেক্টরেট সড়ক, রেলগেট এলাকায় কেনাকাটা করতে আসায় যানজট সৃষ্টি হয়।
যশোর ট্রাফিক বিভাগের অফিসার ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে এরকম এলাকা চিহ্নিত করে আমরা ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছি। শহরের ২২ থেকে ২৫ টি পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট ও সদস্যদের সর্বক্ষণিক রুটিন অনুযায়ী নিয়োজিত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ টিম যানজট নিরসনে কাজ করবে তাদেরকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ট্রাফিক বিভাগের অফিসার ইনচার্জ মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে বুধবার ৪ জুন দুপুরে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের সকল সদস্যকে একযোগে কাজ করতে দেখা গেছে। শহরের জেস টাওয়ার, গাড়িখানা চৌরাস্তা এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টররা সাধারণ সদস্যদের সাথে যানজট নিরসনে কাজ করতে দেখে অনেকেই সাধুবাদ প্রকাশ করেছেন। আর এ সময় তাদের উপস্থিতিতে সকল যানবাহন শৃঙ্খলার সাথে চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়া ফুটপাত দখল করে রাখা দোকানপাট সরাতে ইতোমধ্যেই অভিযান শুরু হয়েছে। যানজটমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে ট্রাফিক বিভাগ।
যশোর শহরবাসীর উদ্দেশে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, অপ্রয়োজনে ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে বাজারে না যেতে, নির্দিষ্ট স্থানে পার্কিং করতে এবং ট্রাফিক সদস্যদের নির্দেশনা মেনে চলতে।
যশোর পৌরসভার সহযোগিতায় কয়েকটি অস্থায়ী পার্কিং স্পট নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ট্রাফিক বিভাগ আশা করছে, এসব উদ্যোগের ফলে ঈদ উপলক্ষে শহরে যানজট পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।