নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-২০ ফরম্যাটের প্রথম ম্যাচেই ফিফটি দেখা পেয়েছিলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। মাঝে বেশ কয়েকটি ইনিংস ভালো শুরু করলেও বড় করতে পারেনি। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে আবারও অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন। ৪১ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন যশোর ক্রিকেট কোচিং সেন্টারের এ ক্রিকেটার।
অপর দিকে যশোরের আর এক খেলোয়াড় বাঁহাতি স্পিনার টিপু সুলতান নিয়েছেন তিন উইকেট। এই দুজনের সাথে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন মোহাম্মদ মিঠুন ও ইমরুল কায়েস।
তামিমের ৬৬ সাথে মোহাম্মদ মিঠুনের ৭১ ও ইমরুল কায়েসের ১৯ বলে ৪০ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদে ৪ উইকেটে ১৯৫ রান সংগ্রহ করে খুলনা। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৬১ রানের বেশি করতে পারেনি রংপুর। আর তাতেই প্লে অফে জায়গা করে নিয়েছে খুলনা।
দলটির দেয়া বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শূন্য রানেই ফেরেন ওপেনার চৌধুরি মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর তানবির হায়দার ও নাইম ইসলাম মিলে দলটির হাল ধরার চেষ্টা করেন। তবে এই জুটিকে বেশি দূর এগোতে দেননি মাসুম খান টুটুল।
তিনি ১৪ রান করা নাইমকে নিয়ে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন। তানবির ফেরেন ১৯ বলে ২৬ রান করে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরির বলে সোহানকে ক্যাচ দিয়ে। চতুর্থ উইকেটে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও অধিনায়ক আকবর আলী ৭৬ রানের জুটি গড়ে রংপুরকে পথ দেখাচ্ছিলেন।
ব্যক্তিগত ২৭ রানে পারভেজ জীবনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে আউট হয়েছেন মামুন। এরপর রংপুরের ব্যাটারদের আসা যাওয়া শুরু হয়। তারা ১২৪ রানের মধ্যেই তিন ব্যাটারকে হারায়। আকবর সর্বোচ্চ ২৯ বলে ৫২ রান করে আউট হন টিপু সুলতানের শিকার হয়ে। আরিফুল হক কোনো রান করার আগেই আউট হন। এই বিপর্যয় থেকে দলটি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ৯ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকলেও তাকে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। খুলনার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন পারভেজ ও টিপু। একটি করে উইকেট নেন আল আমিন, মাসুম খান ও মৃত্যুঞ্জয়।
খুলনা বিভাগীয় দলটির প্রধান কোচের দায়িত্বে আছেন যশোরের সাবেক ক্রিকেটার তুষার ইমরান। সহকারি কোচ সাবেক বাঁহাতি পেসার সৈয়দ রাসেল।