ক্রীড়া ডেস্ক
মাঝমাঠ থেকে রাকিবকে বল বাড়িয়ে বক্সের দিকে ছুটলেন শেখ মোরসালিন। এরপর ফিরতি পাস পেয়ে টোকা দিয়ে গুরপ্রিতের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে জড়িয়ে ডানা মেললেন মোরসালিন। ভারতের বিপক্ষে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ফিরতি লেগে লড়ছে বাংলাদেশ ও ভারত। ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ।
ঘরের মাঠে ভারতকে হারাতে মুখিয়ে থাকা বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য ছিল ধীরলয়ে।
তৃতীয় মিনিটে রাকিব হোসেনের দুর্বল ভলি সহজে গ্লাভসে জমান গোলকিপার গুরপ্রিত সিং সান্ধু, তাতেও দর্শক ফেটে পড়ে উচ্ছ্বাসে। খানিক পর মোরসালিনের থ্রু পাস ধরার কেউ ছিল না। একটু ঢিমেতালে শুরু লড়াইয়ে দুই দলই ছিল সতর্ক।
এরপর আচমকা দ্বাদশ মিনিটের ওই চোখজুড়ানো গোলে গ্যালারিতে প্রাণের সঞ্চার করেন শেখ মোরসালিন।
রাকিবকে বল বাড়িয়ে সামনে এগিয়ে যান মোরসালিন, প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে গতিতে পেছনে ফেলে ঢুকে পড়েন বক্সে। শট নেওয়ার সুযোগ ছিল রাকিবের, কিন্তু তিনি পাস বাড়ান অন্য প্রান্তে মোরসালিনকে। নিখুঁত টোকায় বল জালে জড়িয়ে দেন মোরসালিন।
লাল-সবুজের জার্সিতে এ নিয়ে তার গোল হলো ৭টি।
শুরু থেকে খুব একটা সাবলীল ছিলেন না কাজী তারিক রায়হান। প্রতিপক্ষের চার্জে একদফা ব্যথা পেলেও চালিয়ে যান খেলা। তবে বেশি অস্বস্তি বোধ করায় ২৬তম মিনিটে তাকে তুলে শাকিল আহাদ তপুকে নামান কাবরেরা।
৩১তম মিনিটে নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া নেওয়া করতে গিয়ে অকারণে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে অনেক দূরে গিয়ে বিপদ ডেকে এনেছিলেন মিতুল মারমা। কর্নারের কাছাকাছি মিতুল বল হারালে এক পর্যায়ে পেয়ে যান লালিয়ানজুয়ালা চাংতে। তার শট আটকানোর উপায় ছিল না মিতুলের। চাংতের শটটি হেডে ক্লিয়ার করেন হামজা।
একটু পর তপু বর্মনের করা একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় দুই দলের মধ্যে। ধাক্কাধাক্কিও হয় কিছুটা। তপু ও নারাভি নিখিল প্রভুকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।
৪৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত। প্রথম স্পর্শে বলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর বাম পায়ের ভলি করেন হামজা, কিন্তু বল কিছুটা বাঁক খেয়ে বাইরে যায়।
