নিজস্ব প্রতিবেদক
গত সপ্তাহেও মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিলো একশ থেকে দেড়শ টাকা। এখন তা ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। অর্থাৎ বেড়েছে প্রায় ৫০ টাকার অধিক। বিক্রেতারা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে জোগান কম হওয়ায় দাম বেড়েছে।
যশোর শহরের সাবেক চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড বাজারে মোহাম্মদ আল আমিন নামের এক ক্রেতা বলেন, কাঁচা মরিচের দাম আবার বেড়েছে। এছাড়াও বাজারে প্রায় প্রতিটি পণ্যেরই দাম ঊর্ধ্বমুখী। যে কারণে মাসের খাবার খরচ বেড়েছে প্রায় অর্ধেক। কিন্তু আমাদের আয় তো বাড়েনি। যেভাবে সবকিছুর দাম বাড়ছে, তাতে আমাদের মতো মানুষদের কিছুই কিনে খাবার উপায় নেই। তিনি আরও বলেন, মাঝে মাঝে দাম কমলেও অধিক সময় দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকে।
দাম হঠাৎ বাড়ার কারণ হিসেবে সেই বহু পুরোনো যুক্তিই দিচ্ছেন বিক্রেতারা। আর সেটা হলো, জোগান কম। রেমালের ঝড়-বৃষ্টির কারণে কৃষকের ক্ষেতে সবজি নষ্ট হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আগে বাজারে সবজির সরবরাহ বেশ ছিলো। এতে দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আসতে শুরু করেছিল।
বিক্রেতা আব্দুল হাই বলেন, বাজারে সকালে সবজির দাম এক রকম, তো বিকেলে অন্য দাম। ঝাল কেজিতে ৫০ এর বেশি বেড়ে ২০০ টাকার অধিক দামে বিক্রি হচ্ছে, পটল কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, উচ্চে ২০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা। এছাড়া, টমেটো ৮০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ২৫ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, কুমড়ো ৩০ টাকা, কলা ৪০ টাকা, পুইশাক ৩০ টাকা, কচুরলতি ৩০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, কুশি ৫০ টাকা, নজনে ২০০ টাকা, ধুন্দল ৪০ টাকা, ঝিঙে ৪০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা। প্রতি পিচ লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, প্রতি আঁটি লাল ও সবুজ শাক বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।
বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৩০ টাকার মধ্যে। গরু ও ছাগলের মাংস সেই আগের দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে।