নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের কেশবপুর মডার্ণ হাসপাতালে অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে মনিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজা বেগম এ অভিযোগ করেন। সেই সাথে সংবাদ সম্মেলনে নায্য বিচার দাবি করে করে ফিরোজা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফিরোজা বেগম বলেন, গত ২২ নভেম্বর আমার মেয়ে জলি গর্ভবতী অবস্থায় পেটে যন্ত্রণা অনুভব করলে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক শাহিনুর রহমানের পরামর্শে কেশবপুর মডার্ণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসক আবু বক্কার সিদ্দিকী জরুরি ভিত্তিতে সিজার অপারেশনের পর সদ্য জন্ম নেয়া ছেলে শিশুটিতে মারা যায়। সেই সাথে অপরারেশনের পর মায়ের অবস্থা অবনতির দিকে যেতে থাকে। কিন্তু এরপরও ক্লিনিক মালিক রবিউল ইসলাম ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা যথাযথ চিকিৎসা দেননি।
অপারেশনের পর মায়ের শরীরের অবস্থা খারাপ হলে, তাদের ধারণা ছিল যে তার জরায়ু কেটে ফেলা হয়েছে। যা পরবর্তীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষার রিপোর্টে জানা যায়, মায়ের জরায়ু কেটে ফেলা হয়েছে। ফলে এখন তিনি সন্তান ধারণের ক্ষমতা হারিয়েছেন।
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কেশবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা খান শরীফুল ইসলাম অভিযোগকারীদের সঙ্গে অসদাচরণ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া জেলা সিভিল সার্জন অফিসে অভিযোগ ও কোর্টে মামলা করার পরও ধরা ছোঁয়ার বাইরে মর্ডাণ ক্লিনিক। ক্লিনিক মালিক রবিউল ইসলাম ও চিকিৎসক আবু বক্কার সিদ্দিকী এবং পল্লী চিকিৎসক শাহিনুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগকারী পরিবার সাংবাদিকদের মাধ্যমে ন্যায়বিচার ও প্রতিকার দাবি করেছেন।
ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার কারণে তাদের জীবনে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ায়, ফিরোজা বেগম ও তার পরিবার এখন আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাদের দাবি, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। যাতে আর কোনো পরিবার এই ধরনের ঘটনার শিকার না হয়।
অভিযোগকারীরা আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এবং পুলিশ তদন্তে রয়েছেন। এখন জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে ফিরোজা বেগম এবং তার পরিবার তাদের কষ্টের কথা তুলে ধরেছেন। সংবাদ সম্মেলনে ফিরোজা বেগম, তার স্বামী শফিকুল ইসলাম ও মেয়ে জলি আক্তার উপস্থিত ছিলেন।