কল্যাণ ডেস্ক
হাত পা সবসময়ই ঠাণ্ডা হয়ে যায়, মাথা ব্যথা, ক্লান্তি সারাক্ষণ চেপে বসে থাকে। সারাক্ষণ বিশ্রামের পরও হয়তো ক্লান্তি বিদায় নেয় না কোনোভাবেই। এমন উপসর্গ যদি থেকে থাকে তাহলে এখনই শরীরে আয়রনের মাত্রা পরীক্ষা করে নিন। মূলত আয়রনের ঘাটতি হলেই এ ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়।
এ ছাড়াও চোখে আবছা দেখা, ত্বক, নখের রং ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, অতিরিক্ত চুল পড়া ইত্যাদিও এ সমস্যার উপসর্গ। মাসিক ঋতুচক্র চলাকালীন তো বটেই, অনেকের সারা বছরই এমন উপসর্গগুলো দেখা দেয়। তাই আয়রনের ঘাটতি যাতে তৈরি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
ঋতুচক্র চলাকালীন সময়ে এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে। তাই এ সময়টাতে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার যেমন- সবুজ শাকসবজি, ডিম, কলিজা, শিমের বিচি, সয়াবিন আয়রনের খুব ভালো উৎস।
শরীরে আয়রনের মাত্রা কমে গেলে অ্যানিমিয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। অ্যানিমিয়া হলে ক্লান্তি, কাজ করার শক্তি চলে যাওয়া, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এই সময়ে রোজকার তালিকায় আয়রনসম্পন্ন খাবার রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
অ্যানিমিয়ার অর্থ রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়া। বিশেষজ্ঞরা বলেন, রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে সারা দিন ক্লান্তি, দুর্বলতা, কাজ করতে ইচ্ছা না হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
অন্তঃসত্ত্বা কোনো নারীর শরীরে যদি আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়, তাহলে অনেক রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। সন্তানের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি প্রিম্যাচিউর বার্থও হতে পারে সন্তানের।
আয়রনের ঘাটতির প্রভাব ত্বকে এবং চুলেও পড়ে। ত্বক শুষ্ক, নিষ্প্রাণ এবং ফ্যাকাশে হয়ে যায়। চুল পড়া, খুসকির সমস্যাও দেখা দেয় আয়রনের ঘাটতির কারণে।
আরও পড়ুন: লবণ বিষয়ক ৭ ভ্রান্ত ধারণা!
২ Comments
Pingback: ইফতারের পর হার্ট অ্যাটাক বাড়ছে, সতর্ক হতে হবে
Pingback: পুরুষ কেন খুব সহজে কাউকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু বানাতে পারে না