নিজস্ব প্রতিবেদক
‘চেয়ারম্যানের ছেলে’ এই ক্ষমতাবলে সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যশোর সদরের ইছালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদৌসী ইয়াসমিনের ছেলে ফেরদৌস হোসেন বাবুর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান ফটক সংলগ্ন দুটি আম গাছ কাটেন শ্রমিকরা। আর তদারকি করেন মিস্ত্রি ইমরান হোসেন। এলাকাবাসীর কাছে যিনি চেয়ারম্যানের ছেলের ‘বিশ্বস্ত চামচা’ বলেই পরিচিত। এক সময় নিজে দাঁড়িয়ে থেকে গাছ কাটার তদারকি করেন চেয়ারম্যানপুত্র ফেরদৌস হোসেন বাবু। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে কয়েকদফা মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অভিযোগ রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের থেকেও বেশি ক্ষমতাবান ছেলে ফেরদৌস হোসেন বাবু। বয়স্ক ভাতা থেকে শুরু করে দরিদ্রদের জন্য সরকারের দেয়া সকল ভাতা তার পছন্দসই ব্যক্তিকে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করলে নানাভাবে তাকে অপমান করেন বাবু।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ফেরদৌসি ইয়াসমিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পরিষদের ভেতরের কয়েকটি গাছের ডালপালা ছাটা হয়েছে। আমি সকাল থেকেই পরিষদে ছিলাম। সেসময় পর্যন্ত কোন গাছ গোড়া থেকে কেটে ফেলা হয়নি। তবে আমি পরিষদ থেকে চলে যাওয়ার পর গাছ কাটা হয়েছে কিনা তা বলতে পারবো না। আগামীকাল খোঁজ নিয়ে দেখবো। গাছ কাটা এবং ছাটাই করার ব্যাপারে পরিষদে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি-না বা রেজুলেশন হয়েছে কিনা অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে কিনা ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছুই করা হয়নি। তাহলে বেআইনিভাবে আপনি গাছ কাটা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি জানতাম না গাছ কাটার জন্য কোন আইন আছে।
চেয়ারম্যানের ছেলে হিসেবে ফেরদৌস হোসেন বাবু অবৈধভাবে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করছেন এমন অভিযোগের ব্যাপারে ফেরদৌসি ইয়াসমিন বলেন, আমার ছেলে সব সময় আমার সাথে থাকে, আমার অগোচরে তার কোন কিছুই করার সুযোগ নেই। এমন অভিযোগ আপনাকে কে দিয়েছে তাই বলুন।
চেয়ারম্যান ফেরদৌসি ইয়াসমিন বলেন, আপনাকে কেউ ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত কারার চেষ্টা করছে। আমার বিরুদ্ধে কখনো কেউ কোন অভিযোগ দিতে পারবে না।
গাছ কাটার বিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস জানান, এই বিষয়টি আমি শুনেছি। চেয়ারম্যান একক সিদ্ধান্তে গাছ কাটতে পারেন না, এটা বেআইনি। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 
									 
					