নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের প্রথম দিন বেনাপোলে আমদানি হার কমেছে। গতকাল মঙ্গলবার আমদানি হয়েছে ১৯৫ ট্রাক পণ্য। আর খালাস হয়েছে ১৩৮ ট্রাক। এসময় রপ্তানি হয়েছে ১৭৪ ট্রাক পণ্য। এদিন সকাল থেকেই ভারত থেকে আমদানি করা পণ্য বন্দরের শেডে লোড-আনলোড হয়েছে। কাস্টমস, ব্যাংক ও বীমায় কাজ হয়েছে আগের মতো।
অবরোধের পক্ষে বেনাপোল ও শার্শায় কোনো পিকেটারকে রাস্তায় দেখা যায়নি। তবে অবরোধের বিপক্ষে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিশাল মোটরসাইকেল র্যালি করতে দেখা যায়। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজি বলেন, অবরোধের মধ্যে বন্দর থেকে অনেক ট্রাকে মালামাল লোড হয়েছে। তবে বিকেলের পরে এসব পণ্য বোঝাই ট্রাক বন্দর ছেড়ে গেছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজ খান বলেন, মঙ্গলবার থেকে তিনদিনের অবরোধ শুরু হলেও পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি চালু রয়েছে। অবরোধের মধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাক রপ্তানি করা পণ্য নিয়ে বন্দরে এসেছে। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে পণ্য খালাস কম হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম বলেন, বিরোধীদলের ডাকা অবরোধে বেনাপোল বন্দর আমদানি কম হয়েছে। অবরোধের মধ্যে বন্দরে পণ্য লোড-আনলোড ও আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক ছিল। বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টযাত্রী পারাপারও স্বাভাবিক ছিল। এদিন ১৯৫ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়েছে। খালাস হয়েছে ১৩৮ ট্রাক। এবং ১৭৪ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয়েছে। তবে স্বাভাবিক সময়ে আমাদের এখান থেকে প্রতিদিন আমদানি হয়ে থাকে গড়ে ৪শ ট্রাক। খালাস হয় সাড়ে ৩শ থেকে ৪শ ট্রাক। সেই তুলনায় আমদানি ও খালাস কম হয়েছে।
বেনাপোল শুল্ক ভবনের যুগ্ম কমিশনার মো. শাফায়েত হোসেন বলেন, বেনাপোল কাস্টমস হাউসে শুল্কায়নের কাজ যথা নিয়মে চলেছে। আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে।