ঢাকা অফিস
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে আবার করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয় বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের বরাতে তিনি জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত চিকিৎসক বোর্ডের সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ অনুযায়ী তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে হঠাৎ অক্সিজেন কমে যাওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দ্রুত সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। প্রায় আট ঘণ্টা পর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে সকালে ফের কেবিনে আনা হয়। তখন থেকে চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।
এবারই সবচেয়ে বেশি সময় ধরে হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটার ওঠানামা করায় চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দেশে খালেদা জিয়ার আর কোনো চিকিৎসা নেই। বোর্ডের পক্ষ থেকে বারবার বিদেশে মাল্টিপল ডিজিজ সেন্টারে নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। সেখানে জরুরি ভিত্তিতে তার লিভার প্রতিস্থাপন (ট্রান্সপ্লান্ট) করা প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন তারা।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শয্যাপাশে আছেন ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।
৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই থেকে তিনি অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। এখন তার লিভার, হৃদযন্ত্র ও কিডনির সমস্যা জটিল অবস্থায় রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিনই তিনি কারাবন্দি হন। পরে হাইকোর্টে এ সাজা বেড়ে ১০ বছর হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আরও সাত বছরের সাজা হয়। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। সেই থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে রয়েছেন।