নিজস্ব প্রতিবেদক: খুলনায় ‘জামআতুল মুসলেমিন’ নামে নতুন একটি জঙ্গি সংগঠনের আমিরসহ ১০ সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে।
র্যাব ৬-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মুশতাক আহমেদ জানান, শনিবার সন্ধ্যা খুলনা শহরের খালিশপুর এলাকার একটি মাদ্রাসা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন আনোয়ার কবির মিলন ওরফে মিদ্দাত হোসেন (৫০), সোহেল রানা (৩০), আমিনুল (৩৮), কামরুল ইসলাম (৫৫), রিফাত রহমান (২৪), আবদুর রউফ (৬২), শেখ ফরিদ (২৭), আবদুল আলীম (৫০), রফিকুল ইসলাম (৪৬) ও তালহা ইসলাম ওরফে গণ (১৯)।
তাদের মধ্যে আনোয়ার কবির মিলন ওরফে মিদ্দাত হোসেন নতুন সংগঠনের আমির বলে জানায় র্যাব। র্যাব কর্মকর্তা মুশতাক আহমেদ বলেন, “সংগঠনটির স্বঘোষিত আমির আনোয়ার কবির মিলন ওরফে মিদ্দাত হোসেন ২০০২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবে লেখাপড়া করেন। লেখাপড়া শেষ করে বাংলাদেশে ফিরলে তার সঙ্গে ভোলার চরফ্যাশন এলাকার মজিদের সঙ্গে পরিচয় হয়।
“মজিদ জেএমবির আমির শায়খ আবদুর রহমান ও শায়খ সাইদুর রহমানের অনুসারী ছিলেন।” র্যাব কর্মকর্তা মুশতাক বলেন, “মিদ্দাত হোসেন সৌদি আরব থেকে ফেরার পর মজিদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হয়ে ওঠেন এবং পরে মজিদের কাছে জেএমবির বায়াত গ্রহণ করেন। সে সময় মিদ্দাত হোসেনের সঙ্গে জেএমবির অনেক সদস্যের পরিচয় হয়।
“সন্দেহভাজন জঙ্গি কার্যক্রমের জন্য ২০১২ সালে গোয়েন্দা পুলিশ মিদ্দাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে মিদ্দাত হোসেন একটি নিজস্ব সংগঠন তৈরি করার ব্যাপারে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ২০১৮ সালে মজিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত বেশ কিছু ব্যক্তি মিদ্দাত হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে নতুন সংগঠন তৈরির পরিকল্পনা করেন। এজন্য দাওয়াত দেওয়া শুরু করেন।”
মুশতাক বলেন, “তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল দাওয়াত দেওয়ার মাধ্যমে জনগণের একটি বড় অংশকে নিজেদের দলে ভেড়ানো এবং পরে সশস্ত্র জিহাদের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা করা। মিদ্দাত হোসেন ও তার সহযোগীরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় সূরা সদস্য নিয়োগ করে প্রতিটি এলাকা থেকে সাথী সদস্য সংগ্রহের কাজ করে যাচ্ছিলেন।
“বর্তমানে টাঙ্গাইল, গাজীপুর, যশোর, খুলনা, ময়মনসিংহ এবং ঢাকায় তাদের রিক্রুটমেন্ট কার্যক্রম ব্যাপক আকারে চলছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে খুলনায় তিন দিনের একটি বৈঠকের আয়োজন করেন তারা। খবর পেয়ে শহরের খালিশপুরের কাশিপুর এলাকায় মাদানী নিসাব নামের একটি মাদ্রাসার বৈঠক থেকে তাদের আটক করা হয়।”