নিজস্ব প্রতিবেদক
কথিত চরমপন্থি সংগঠনের সদস্যদের জন্য ভারত থেকে আনা তিনটি অস্ত্র ও ছয় রাউন্ড গুলিসহ দুইজনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। বুধবার ভোর রাতে যশোরের শার্শা উপজেলার ধান্যখোলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে।
তারা হলেন, ধান্যখোলা দক্ষিণপাড়ার আইয়ুব আলীর ছেলে মহিদুল ইসলাম (৪০) ও ধান্যখোলা উত্তরপাড়ার মৃত আব্দূল মান্নানের ছেলে আতিয়ার রহমান (৩০)।
এ বিষয়ে গতকাল দুপুর ১২ টার দিকে যশোর পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ পরিদর্শক ডিআইও মো. মামুন খান, জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি রুপন কুমার সরকার, এসআই মফিজুল ইসলাম প্রমুখ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন জানান, যশোরের অভয়নগর ও মণিরামপুর উপজেলা এবং খুলনার বিভিন্ন অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে কথিত চরমপন্থি সংগঠন নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি ও পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি শ্রেণি শত্রু খতমের নামে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদাবাজির জন্য কয়েকটি হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
তদন্তকালে তাদের অস্ত্র সরবরাহকারীদের তথ্য পাওয়া যায়। এরপর বুধবার ভোর ৪টার দিকে শার্শা উপজেলার ধানাখোলা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় মহিদুল ইসলাম ও আতিয়ার রহমানকে আটক করা হয়। পরে মহিদুলের বসতঘর থেকে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬ রাউন্ড গুলি ও তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ জানায়, চরমপিন্থ সংগঠন ‘নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির নেতা দিপংকর ভারতে থাকেন। তিনি যশোরের অভয়নগর উপজেলার আন্দা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে অস্ত্রগুলি সরবরাহ করেন। ওই অস্ত্র চরমপন্থি সংগঠনের সদস্যদের হাতে পৌছে যায়। এ অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মানুষ হত্যায় ব্যবহৃত হয়। এ ঘটনায় এসআই মফিজুল ইসলাম বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেছেন।
উল্লেখ্য, অবৈধ অস্ত্র সরবরাহকারী দিপংকারের নামে ৭টি হত্যাসহ অস্ত্র মামলা রয়েছে। এছাড়াও আতিয়ার রহমানের নামে রয়েছে মাদক ও ধর্ষণ মামলা।