নিজস্ব প্রতিবেদক
পাওনা টাকা আত্মসাৎ ও চাঁদাদাবিতে এক নারীকে মারপিট এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগে যশোরের চামড়া ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন মুকুলসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। গত ২৫ এপ্রিল সদর উপজেলার কচুয়া গ্রামে নারীর বাড়িতে এই ঘটনার পর ১৭ মে কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে।
আসামিরা হলো, রামনগর পুকুরকুল এলাকার শাহজাহান মাস্টারের ছেলে আলাউদ্দিন মুকুল, একই এলাকার ইসমাইল হাজীর চাতালের পূর্বপাশের জীবন বারিক এবং আনোয়ার হোসেনের ছেলে আহাদ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ওই নারীর স্বামী মাসুদ আলম মারা যাওয়ার পর শহিদুল ইসলাম নামে একজনের সাথে বিয়ে হয়। তিনি বর্তমানে রামনগর রেলক্রসিংয়ের পাশে তার পিতার বাড়িতে থাকেন। তার পূর্বের স্বামী মাসুদ আলম রাজারহাট বাজারে চামড়ার ব্যবসা করতেন। ওই সময় মেসার্স ঢাকা ট্রেডার্সের মালিক কাকনের কাছে তার স্বামী মাসুদ আলমের ১৬ লাখ ৫৭ হাজার ১৫০ টাকা পাওনা থাকে। পাশাপাশি আসামি মুকুল তার স্বামীর কাছে ৫ লাখ টাকা পাওনা থাকে। ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর তার মাসুদ আলম মারা যাওয়ার পর আসামি মুকুলসহ অন্যরা তার বাড়িতে যায় এবং হুমকি ধামকি দিয়ে তিনটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। মাসুদ আলম মারা যাওয়ার ৬ মাস পর তিনি জানতে পারেন আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে মেসার্স ঢাকা ট্রেডার্সের মালিক কাকনের কাছ থেকে তার স্বামীর পাওনা টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেছে। ওই টাকা চাওয়ায় উল্টো মুকুল তার ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
গত ২২ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে মুকুলসহ অন্য আসামিরা তার বাড়িতে যায়। এসময় দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা চায়। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারপিটসহ শ্লীলতাহানি ঘটায়। আবার গত ২৫ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসামিরা তার বাড়িতে যায় এবং ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে মুকুল তাকে টানাহেঁচড়া করে ভেনেটি ব্যাগে থাকা ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। চলে যাওয়ার সময়ে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়। পরে বিষয়টি নিয়ে তিনি তার পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ গত শুক্রবার রাতে তা মামলা হিসাবে রেকর্ড করে।
