নিজস্ব প্রতিবেদক
ঋণ দেয়ার নামে ১৯ জন শিক্ষকের বেতন বই আটকে রেখে চাঁদা দাবির অভিযোগে চৌগাছা উপজেলা শিক্ষক কর্মচারি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল উপজেলার রুস্তুমপুর দাখিল মাদরাসার সহকারী সুপার আব্দুল আলিম এই মামলাটি করেছেন। বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডি পুলিশ যশোর জোনকে আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুজ।
আসামিরা হলেন, চৌগাছা উপজেলা শিক্ষক কর্মচারি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সভাপতি ও বাকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহিনুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক ও স্বরূপদাহ গ্রামের বাসিন্দা সামাউল ইসলাম।
বাদী মামলায় জানিয়েছেন, শিক্ষকদের কল্যাণে ২০০৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি চৌগাছা উপজেলা শিক্ষক কর্মচারি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নটি গঠন করা হয়। এই সংগঠনটি থেকে শিক্ষকরা তাদের প্রয়োজনে ঋণ গ্রহণ করে থাকেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঋণের বিপরীতে গ্রহীতার কাছ থেকে তার চাকরির ব্যাংক একাউন্টের চেক বাই জামানত হিসেবে রেখে দেন। যা আইনত দ-নীয় অপরাধের পর্যায় পড়ে। তারপরও প্রয়োজনে অনেকেই সেখান থেকে ঋণের টাকা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু ঋণের টাকা পরিশোধ হলেও অনেকের চেক বই ফেরৎ দিচ্ছেনা। এভাবে এক বছরের অধিক সময় ধরে ১৯ জন শিক্ষকের বেতনের চেক বই আটকে রাখার কারণে তারা বেতন উত্তোলন করতে পারছেন না। তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ফলে ওই ১৯ শিক্ষক গত ২৫ জুন শিক্ষক কর্মচারি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে গিয়ে তাদের বেতনের চেক বই ফেরৎ চান। এসময় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাফ জানিয়ে দেন তাদের চেক বই ফেরৎ দেয়া হবে না। এই ঘটনায় স্থানীয়ভাবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে মিমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে রুস্তুমপুর দাখিল মাদরাসার সহকারী সুপার ১৯ জনের পক্ষে গতকাল আদালতে এই মামলা করেছেন। বিচারক মামলাটি তদন্ত পূর্বক ভুক্তভোগী ওই শিক্ষকদের বেতন বাই বা ব্যাংক চেক বই উদ্ধার করার জন্য সিআইডি পুলিশকে আদেশ দিয়েছেন।
বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুজ জানিয়েছেন, শিক্ষকদের বেতন বই বা ব্যাংক চেক বই আটক রাখা বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪২ এর চরম লংঘন।