নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের চৌগাছা উপজেলার চৌগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে তিনটি পরিবার। সোমবার দুপুর দেড়টায় প্রেসক্লাব যশোরে মিথ্যা মামলা ও পুলিশ দিয়ে হয়রানিসহ নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী ইমরান হোসেন বলেন, আবুল কাশেম ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় ঘের, বাঁওড়, বিল দখলসহ নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছেন।
বেড়গোবিন্দপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে ইজারা ছিল গোবিন্দপুর বাওড়টি। লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভুয়া মৎস্যজীবী সমিতি গঠন করে ওই বাওড় ইজারা নেন। এছাড়া পার্শ্ববর্তী লস্করপুর বিলের ইজারা নিতেও তিনি ভুয়া কমিটি গঠন করে টেন্ডার দাখিল করেন। এতে করে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হন। এজন্য তিনি সহ মৎস্যজীবীরা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন চেয়ারম্যান। এরপর থেকে তিনি মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছেন। এমনকি হত্যার জন্য হামলাও করেছেন। ক্ষতি করার জন্য নিজ পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। এ মামলায় আমাকে ছাড়াও শামীম রেজা ও ভুট্টো মিয়া নামে আরো দুজনকে আসামি করা হয়েছে। যারা তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। গত চারদিন ধরে শামীম রেজাকে খুঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ভুট্টোকে পুলিশের মাধ্যমে তুলে নিয়ে ভয় ভীতি দেখানো হয়েছে। এ অবস্থায় তিনটি পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়েছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম। তার দাবি, অভিযোগকারীরা তাকে প্রাণনাশের চেষ্টা করেছে। তার মাছের ঘেরের ক্ষতি করেছে। আর বৈধ সমিতির মাধ্যমেই সরকারিভাবে বাঁওড় লিজ নেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইমরান হোসেন আরো জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের অত্যাচার নির্যাতন থেকে বাঁচতে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। সংবাদ সম্মেলনে শামীম রেজার স্ত্রী হালিমা খাতুন, ভুট্টু মিয়া ও তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।