নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেককে (৬৫) এবার চৌগাছার একটি চাঁদাবাজি মামলায় স্যোন এরেস্ট দেখানো হচ্ছে। গতকাল শনিবার চৌগাছা থানার এসআই সুরঞ্জিত কুমার রায় আদালতে এই আবেদন করেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা এটা সাজানো মামলা অবিহিত করে তার দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর যশোর জেলা বিএনপি অফিসে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মামলায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ আব্দুল খালেককে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার দেখায়। তিনি যশোর শহরের পোস্ট অফিসপাড়ার বাসিন্দা। তিনি জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন।
সূত্র মতে, গত ১২ নভেম্বর রাতে কোতোয়ালি থানা পুলিশ জেলা বিএনপি অফিসে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মামলায় আব্দুল খালেককে ডিবি পুলিশ গ্রেফতারের পর কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করে। তিনি যশোর কারাগারে বন্দি রয়েছেন। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার চৌগাছা থানার একটি মামলায় তাকে স্যোন এরেস্ট দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। ওই মামলার ঘটনায় জানা গেছে, চৌগাছা উপজেলার চারাবাড়িয়া গ্রামের নান্নু মিয়া একজন গরু ব্যবসায়ী।
তিনি ফুলসারা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। এলাকায় তোতা মিয়াসহ কয়েকজনের সাথে বাদী রাজনৈতিক বিরোধ ছিলো। তারই জের ধরে ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭৮টার দিকে তোতা মিয়াসহ বেশ কয়েকজনে বাদী নান্নু মিয়ার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এসময় বাদীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা চাঁদার টাকা পরে দিতে হবে বলে চলে যায়। চলতি বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পরে গত ২ অক্টোবর নান্নু মিয়া বাদী হয়ে ১০জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে চৌগাছা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় গতকাল আব্দুল খালেককে স্যোন এরেস্টের আবেদন করা হয়েছে।