সাড়াতলা (শার্শা) প্রতিনিধি
যশোরের শার্শার সাড়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী সাইফুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে মানববন্ধন ও ঝাঁড়ু মিছিল করা হয়েছে।
রোববার সকালে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকসহ সর্বস্তরের মানুষ সাড়াতলা বাজার ও বিদ্যালয়ের সামনে তার উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে মানববন্ধন এবং ঝাঁড়ু মিছিল করেন।
যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানির শিকার ছাত্রীদের অভিভাবকগণ অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে বুধবার শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে রোববার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সরেজমিন অভিযোগ তদন্তে সাড়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন। এ সময় তার উপস্থিতিতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ প্রদর্শন, ঝাড়ুমিছিল ও মানববন্ধন করে অভিযুক্ত সুমনের শাস্তি ও প্রধান শিক্ষকের বদলির দাবি জানান।
তদন্তকালে অভিযুক্ত সুমন উপস্থিত সকলের সামনে অসংলগ্ন আচরণ করলে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠলে গোড়পাড়া ক্যাম্প পুলিশের এসআই সালাউদ্দীন তাকে আটক করে নিয়ে যান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, ডিহি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মুকুল, গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের এসআই সালাউদ্দীন, বিদ্যালয়ের সভাপতি শিক্ষক নূর মোহাম্মদসহ সদস্যবৃন্দ, বীরমুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী ও সাড়াতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাস্টার ইসলাম সরদার, উপজেলা যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক লিলিফুন নাহার লিলি, ডিহি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান পলাশ সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলাম বলেন, আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে যেটা বেরিয়ে আসবে সেটা আমরা মেনে নেব। আমার ভাই যদি দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে সে শাস্তি পাবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দাখিল করা হবে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গোড়পাড়া ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই সালাউদ্দীন বলেন, এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুমনকে গ্রেফতার করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।