মিজানুর রহমান, তালা (সাতক্ষীরা): সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জেঠুয়া জাগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষা ক্ষেত্রে আলোকবর্তিকা হয়ে আলো ছাড়াচ্ছেন। গ্রামের অবহেলিত শিক্ষার্থীদের জন্য মনোরম শিক্ষার পরিবেশ, আধুনিক মানের পাঠদানসহ এই বিদ্যাপীঠের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা।
তালা উপজেলা শহর হতে ৪ কিমি চোখে পড়বে ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ১৪ জন শিক্ষক ও ৪৭৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৩ সালে এই প্রতিষ্ঠান হতে পরীক্ষা অংশগ্রহণকারী ৪০ জন শিক্ষার্থীদের মধ্য কৃতকার্য লাভ করে। ৩ জন এ প্লাসসহ ৩৭ জন,২০১৪ সালে ৭৯ জন পরীক্ষা অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য ১জন এ প্লাসসহ ৭৪ জন, ২০১৫ সালে পরীক্ষা অংশগ্রহণকারী ৫৪ জন শিক্ষার্থীদের মধ্য ১ জন এ প্লাসসহ ৪৩ জন, ২০১৬ সালে ৬৭ জন শিক্ষার্থীদের মধ্য ৬জন এ প্লাসসহ ৬৬ জন, ২০১৭ সালে ৬৩ জনের মধ্য ১জন এ প্লাসসহ ৬০ জন, ২০১৮ সালে ৬৯ শিক্ষার্থীদের মধ্য ১ জন এ প্লাসসহ ৪৭ জন, ২০১৯ সালে ৭৭ শিক্ষার্থীদের মধ্য ৩ জন এ প্লাসসহ ৭৪ জন, ২০২০ সালে ৬০ শিক্ষার্থীদের মধ্য ২জন এ প্লাসসহ ৫৪ জন এবং ২০২১ সালে ৬১ শিক্ষার্থীদের মধ্য ৩ জন এ প্লাসসহ ৫৮ জন কৃতকার্য লাভ করেছেন।এছাড়া শিক্ষা বোর্ডর জেএসসি ফলাফল বিশ্লেষণ করে সাফল্যের চিত্র পাওয়া যায়।
বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমান অভিভাবক লিয়াকত মোড়ল, মোল্লা তবিবুর রহমান কালু ও নিত্যনন্দ রায় বলেন, ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত জেঠুয়া জাগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি গুটি গুটি পায়ে আজ শিক্ষা খাতসহ সর্বক্ষেত্রে আলো ছড়াতে শুরু করেছে। এলাকার মান উন্নয়নেও বিদ্যালয়টি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। আমরা বিদ্যালয়টির উত্তর উত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।
বিদ্যালয়টি সর্ম্পকে দাতা সদস্য ও সাবেক সভাপতি অধ্যাপক এস কে কামরুল ইসলাম বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমার পূর্ব পুরুষদের দানকৃত সম্পর্তির ওপর নির্মিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এখন উপজেলা জুড়ে শিক্ষার আলো ছড়াতে সক্ষম হয়েছে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান জানান, আমি বিদ্যালয়টিতে ২০১৩ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছি। যোগাদানের সাল হতে ২০২১ পর্যন্ত বিদ্যালয়টির পাশের হার ৯৫% হতে ৯৮ % এর মধ্য উন্নতি লাভ করেছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ৪৭৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে সকল জাতীয় দিবস যথাযথ মর্যাদয় পালন করা হয়। সর্বোপরি বিদ্যালয়ের অডিট রিপোর্ট পরিচালনা ও সর্বপ্রকারের আয়-ব্যয় ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বিদ্যালয়টি অনেক চরাই-উতরাই শেষে এই অবস্থানে আসতে সক্ষম হয়েছে। আমি সকলের সহযোগিতা নিয়ে বিদ্যালয়টি আলোবর্তিকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করাতে কাজ করে যাচ্ছি।