নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহে বিএনপি ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এসময় ভাঙচুর করা হয়েছে যুবলীগ নেতা আশফাক আহমেদসহ কয়েকজনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সোমবার দুপুরে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস উপলক্ষে সরকারি কেসি কলেজ থেকে একটি মিছিল বের করে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগ। অপরদিকে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব চত্বরে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন উপলক্ষে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা আগে থেকেই জড়ো হতে থাকে। ছাত্রলীগের মিছিলটি শহরের পুরাতন ডিসি কোর্টের সামনে পৌঁছলে অপর দিক থেকে আসা বিএনপি’র মিছিলের নেতাকর্মীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ। বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়ায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরে পোস্টঅফিস মোড়ে অবস্থান করলে বিএনপি নেতাকর্মীরা যুবলীগ নেতার মালিকাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে। এতে প্রায় আধাঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে শহরবাসী। চলাচল বন্ধ হয়ে যায় যানবাহনের। পরে পুলিশ উভয়পক্ষকে সরিয়ে দেয়।
পরে বিএনপি শহরের মডার্ণমোড় এলাকায় অবস্থান নিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠি চার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আশফাক মাহমুদ জন বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলো। সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। সেইসাথে তার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে।
এদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ মজিদ বলেন, তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিল। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। যুবলীগ নেতার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।