ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে সপ্তাহের ব্যবধানে খুন হয় এক নারীসহ তিন জন। একই রকম হত্যাকান্ডের ধরণ দেখে পুলিশ মাঠে নামে।
১০ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার পোড়াহাটী গ্রামে ধর্ষণের পর খুন করা হয় বিবিজান নেছাকে (৪৫)। গত ৬ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার তেঁতুলতলা এমকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বারান্দা থেকে ইলিয়াস আলী পাটোয়ারি ও ৯ ফেব্রুয়ারি লাউদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিঁড়ি ঘরের নিচ থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার বলেন, গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে এমকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় ইলিয়াস পাটোয়ারির সঙ্গে বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করে। সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে টিউবওয়েলের হাতল দিয়ে মাথায় আঘাতের পর আঘাত করে হত্যা করে চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার নুরপুর গ্রামের বৃদ্ধ ইলিয়াসকে। এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি লাউদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় ঘুমিয়ে থাকায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির সঙ্গেও ইয়াদ আলী বিকৃত যৌনাচারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তাকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় ইয়াদ। আমরা তদন্ত করে ও তার হত্যার বর্ণনা দেখে নিশ্চিত হয়েছি যে, বিকৃত যৌনাচার ও ধর্ষণে বাঁধা দেয়ার কারণে ইয়াদ আলী একে একে তিনটি হত্যা করে।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ সোহেল রানা বলেন, ৩টি ঘটনায় ২টিতে হত্যা মামলা ও ১ টিতে অপমৃত্যু মামলা হয়েছিল। এখন ৩টি হত্যা মামলা বলে গণ্য হবে। তিনি বলেন, ইয়াদ আলী আরও কোন হত্যার সাথে জড়িত কি না তা বের করার চেষ্টা করছি। ইয়াদ আলী মাদক সেবন করে বিকৃত যৌনাচার করার জন্য বিভিন্ন স্থানে হানা দিত। সে নড়াইল থেকে গত ৫ মাস আগে ঝিনাইদহ শহরে আসে বলে পুলিশকে জানিয়েছে।