বাগেরহাট প্রতিনিধি
ডলার সংকটে কয়লা আমদানি বন্ধ থাকায় ১৪ জানুয়ারি থেকে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে।
বৈদেশিক ওই মুদ্রা পর্যাপ্ত না থাকার ফলে লেটার অফ ক্রেডিট (এলসি) বা ঋণপত্র খুলতে না পারায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বিনিয়োগে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদনে সক্ষম রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট। এর মধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পান্ন একটি ইউনিট দিয়ে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজীম জানান, ডলার সংকটে বাংলাদেশ ব্যাংক কয়লা আমদানির ঋণপত্রের অনুমোদন দিচ্ছে না। বিষয়টি চিঠি দিয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকও করেছেন, তবে বিষয়টির সমাধান হয়নি।
কেন্দ্রটি থেকে নিয়মিত উৎপাদন হচ্ছিল ৫৬০ থেকে ৫৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এর মধ্যে থেকে ৪৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিল ঢাকার জাতীয় গ্রিডে। ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ইউনিটটি চালু রাখতে প্রতিদিন প্রয়োজন হতো ৫ হাজার টন কয়লা। চলতি বছরের জুনে কেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল।
আরও পড়ুন : ডলার সংকটের প্রভাব ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানিতে, এলসি ওপেনিংয়ে ব্যাপক পতন
ডলার সংকট নিয়ে কথা হয় বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আনোয়ারুল আজীমের সঙ্গে।
তিনি জানান, ডলার সংকটে বাংলাদেশ ব্যাংক কয়লা আমদানির ঋণপত্রের অনুমোদন দিচ্ছে না। বিষয়টি চিঠি দিয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) জানানো হয়েছে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকও করেছেন, তবে বিষয়টির সমাধান হয়নি।
ডিজিএম আরও জানান, শেষ কয়েক দিন জরুরি রিজার্ভের কয়লা দিয়ে উৎপাদন চালু রাখা হয়েছিল। সেটাও শেষ হওয়ায় বাধ্য হয়ে গত শনিবার থেকে উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে।
২ Comments
Pingback: সজিবের কাছ থেকে পাওয়া যাবে রাজিব হত্যার রহস্য - দৈনিক কল্যাণ
Pingback: বিশ্বব্যাংকের এমডি ঢাকায় আসছেন আজ - দৈনিক কল্যাণ