নিজস্ব প্রতিবেদক
ক্লিনিকের ওষুধ রাখার ফ্রিজে রাখা হয়েছে মাছ, মাংস। অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন চারপাশ। মানা হয়নি ক্লিনিক তৈরির কোন নিয়ম। একজন মেডিকেল অফিসার ও ডিপ্লোমা ছাড়া অদক্ষ নার্স দিয়েই চলছে ২৪ ঘণ্টার কার্যক্রম। আবার নিয়মিত গর্ভবতী রোগী ভর্তি এবং সিজারও চলছে দেদারছে। যশোরের মণিরামপুরের মনোয়ারা ক্লিনিক, মণিরামপুর নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক ক্লিনিক ও শহরের সিটি হাসপাতালে এ চিত্র পেয়েছে যশোর প্রশাসন। এর দায়ে মনোয়ারা ক্লিনিকের মালিক আব্দুল হাইকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং মণিরামপুর নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকের মালিক অলিয়ার রহমানকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক বছরের কারাদণ্ড এবং সিটি হাসপাতালের মলিককে দশহাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার যশোর জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৌম্য চৌধুরী এ সাজা ও অর্থদণ্ড করেন। এসময় র্যাব যশোরে কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাজমুস সাকিব ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. ইফফাত জেরিন নূরানী ও ডা. সাফেদা আক্তার কেয়া উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৌম্য চৌধুরী জানান, ক্লিনিক তিনটিতে চিকিৎসার কোন পরিবেশ নেই।
তথাকথিত মেডিকেল অফিসার ও অদক্ষ নার্স দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তারা চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করে আসছে। তিনি আরও জানান, একটি ক্লিনিক পরিচালনার জন্য যা যা প্রয়োজন তার কোন কিছুই ক্লিনিট তিনটির মালিক দেখাতে পারেনি। তাদের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মনোয়ারা ক্লিনিকের মালিককে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা, মণিরামপুর নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকের মালিককে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানাসহ এক বছরের কারাদ- দেয়া হয়েছে। এছাড়াও শহরের সিটি হাসপাতালকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে ভবিষ্যতে অদক্ষ নার্স ও চিকিৎসক ছাড়া যাতে তারা ক্লিনিক পরিচালনা করতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।
র্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাজমুস সাকিব জানান, স্বাস্থসেবার মান উন্নত করার লক্ষ্যে র্যাব অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে। তারই ধারাবাহিকতায় মণিরামপুরে অভিযান চালিয়ে দুটি ক্লিনিক মালিক এবং যশোর শহরের একটি ক্লিনিক মালিককে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা ও কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এসময় বিপুল পরিমাণ মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ জব্দ করা হয়।