নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীকে ভোট না দেয়ার হুমকি দেয়ার অভিযোগে পাঁচজন দুর্বৃত্তকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো, সদর উপজেলার লেবুতলা ঘোষপাড়ার অশোক কুমার ঘোষের দুই ছেলে অসিম কুমার ঘোষ ও মিঠুন কুমার ঘোষ, সুনীল ঘোষের ছেলে বিশ্বজিৎ ঘোষ, একই গ্রামের আহম্মেদ আলীর ছেলে জসিম উদ্দিন ও ফুলবাড়ি গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে মুহিন হোসেন।
যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানিয়েছেন, আজ ৫ জুন চতুর্থ ধাপে যশোর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। আটককৃতরা পুলিশকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে টেলিটক কোম্পানির মোবাইল সিম কিনে গত ১ জুন রাত ১১টার দিকে লেবুতলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর খায়রুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইলে রিং করে। এসময় তারা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে সদর উপজেলার পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দোয়াত কলম প্রতীকে নির্বাচন না করার হুমকি দেয়। বিষয়টি দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বিপুল অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর মোবাইলে হুমকির অডিও ক্লিপসহ অভিযোগ করেন। অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার পুলিশ সুপার যশোরকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন। এই বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি একটি সাধারণ ডায়েরি এন্ট্রি করে ফুলবাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই পবিত্র বিশ^াসকে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন। এসআই পবিত্র বিশ্বাস জেলা গোয়েন্দা (ডিবি)র সহযোগিতায় তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযুক্তদের সনাক্ত করেন। গত ৩ জুন বিকালে লেবুতলা ঘোষপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় ব্যবহৃত সীম ও মোবাইলের সূত্র ধরে ১ জনকে আটক করা হয়। এরপরে পর্যায়ক্রমে অন্য চারজনকে আটক করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় মূলত খায়রুল মেম্বার ও তার সহযোগীরা পরস্পর যোগসাজসে উপজেলা নির্বাচনে ডিবি পুলিশকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র করে। প্রতারণাপূর্বক ডিবি পুলিশের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ফোন করিয়ে তা রেকর্ড করে প্রচার-প্রচারণা করে। ফলে এই ঘটনার খায়রুল মেম্বারসহ আরো কয়েকজন পলাতক আছে। তাদেরকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এসআই আমিরুল ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার আটক পাঁচজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।