প্রবীর দাস: নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে কৃষকরা সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে বিলের পানি সরিয়ে ১ জানুয়ারি থেকে শুরু করেছে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ডুমুর বিলে চাষের প্রস্তুতি ।
ভবদহ নদীর (টেকা নদী) ওপর পানি নিষ্কাশনের জন্য স্লুইস গেট নির্মিত হলেও দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, লুটপাট, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও পানিউন্নয়ন বোর্ডের খামখেয়ালীর কারণেই ভবদহ সংলগ্ন এলাকার জলবদ্ধতার স্থায়ী কোন সমাধান হয়নি ।
পার্শবতী নদীগুলোতে পলি জমে ভরাট হতে হতে নদীর নব্যতা হারিয়ে ভারি বৃষ্টিপাতে এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আর আশে পাশের এলাকার মানুষের জীবনে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ । ভবদহ সংলগ্ন ও তার আশেপাশের ২৭ বিলের পানি নিষ্কাশন না হলে কৃষি নির্ভর মানুষকে অসহায়, বেকার ও দুর্বিসহ জীবন যাপনের সম্মুখিন হতে হয়। ভবদহের স্লুইস গেটে এমনই ভাবে আটকে আছে যশোর মনিরামপুর থানার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের ডুমুর বিলের কৃষিনির্ভর মানুষের জীবন । শীতে মৌসুমে ইরি ধান জমিতে লাগাতে না পারলে পরিবার ও সন্তানদের নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করতে হবে তাদের। কৃষি জমি দীর্ঘদিন পনিবদ্ধ হয়ে থাকার কারণে জমিতে ফসল ফলাতে পারে না তারা। তাই এলাকাবাসী সমস্যা সমাধানে অন্যের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজেরাই নিজেদের ভাগ্য বদলানোর চেষ্টায় ১ জানুয়ারি থেকে শুরু করেছে সেচ কার্যক্রম। পর্যায়ক্রমে তারা নাউলি গাড়িঘাটের ব্রিজ, ঝোড়ো বিশ^াসের বাড়ির পাশে এবং দক্ষিণ গাবখালী প্রাইমারি স্কুলের পাশে লাউকু-া গ্রামের মফিজুর রহমানের সেচ যন্ত্র বসিয়ে দিন রাত বিরতীহীন সেচের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বর বাপ্পা সেন বলেন, গতবারও এভাবেই সেচের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন করা হয়েছিল। ফসল ফলানোর এ উদ্যোগের জন্য আমরা খুশি। এক জন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি আমার এলাকার জনগণের মুখে সব সময় হাসি দেখতে চাই। এ কার্যক্রম ১৫-১৬ দিন চললে জমি চাষের উপযোগী হবে।