নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিকরগাছা :
যশোরের ঝিকরগাছায় কপোতাক্ষ নদের উপর নির্মিত সেতু প্রকল্পে অধিগ্রহণকৃত জমির টাকা তিন বছরেও না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই জমিতে থাকা ভবনের অর্ধাংশ ভেঙ্গে ফেলায় স্থাপনাটি এখন মরণফাঁদেও পরিণত হয়েছে। বিষয়টি সুরাহার জন্য জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন জমির মালিক।
জানা গেছে, যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ঝিকরগাছায় কপোতাক্ষ নদের উপর সেতু নির্মাণ প্রকল্পে ৬৮নং কৃষ্ণনগর মৌজার ৩৮ ও ৪৭ নং খতিয়ানের ৯১১ দাগের ০.০৬ একর জমির মধ্যে ০.০০৮ একর অধিগ্রহন করা হয়। যার এল,এ কেস নম্বর ০৭/২০১৭-১৮। এ জমির উপর অবস্থিত ভবনের মালিক ইমদাদুল হক ও আব্দুল্যাহ হিল কাফি। এর মধ্যে ইমদাদুল হকের জমি অধিগ্রহণ হলেও আব্দুল্যা হিল কাফির অংশ অধিগ্রহণ হয়নি। ফলে দুজন মালিকের ভবনটি একই রুফ স্লাব বেস্টিত থাকায় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। এরপর ভূমি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন ২০১৭ (২০১৭ সনের ২১ নম্বর আইন) এর ৮-ধারার (৩)(ক) উপধারা মোতাবেক ওই ভবনের মালিক আব্দুল্যাহ হিল কাফিকে এক কোটি সাত লাখ আটাআশি হাজার ৬৭৪ টাকা দেয়ার জন্য তখন জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা জেলা প্রশাসককে পত্র দেন।
এক পর্যায় অধিগ্রহণকৃত জমির ভবনের অংশবিশেষ ভেঙ্গে ফেলা হয়। তখন ভবনের অবশিষ্ট অংশ ঝটুকির মধ্যে পড়লে ভবনের মালিক আব্দুল্যাহ হিল কাফি ভবনের ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। এতে করে জেলা প্রশাসক ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এরপর একাধিকবার তদন্ত প্রতিবেদন দেন কর্মকর্তারা। তাতে ভবনের মালিক আব্দুল্যাহ হিল কাফিকে ভবনের ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়। ২০১৯ সালের ১১ জুলাই ক্ষতিপূরণের চিঠি পেলেও তিন বছরেও মেলেনি ভবন মালিকের ক্ষতিপূরণের টাকা। সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩১ মে যশোর জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা কেএম মামুনুর রশীদ বিষয়টি তদন্তপূর্বক জেলা প্রশাসককে ভবন মালিক কাফিকে ক্ষতিপূরণের বিষয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ভবনটি ১৯৪৭ সালের পূর্বে নির্মিত এবং ভবন দুটি একই রুফ স্লাব দ্বারা নির্মিত ও অবিচ্ছেদ্য। একটি অংশ ভাঙ্গা হলে অপরাংশ ঝুঁকিপূর্ণ ও জানমালের ক্ষতি হবে।
এরপরও ক্ষতিগ্রস্থ ভবনের টাকা না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেন ভবন মালিক আব্দুল্যা হিল কাফি। ইতিমধ্যে ভবনের অবশিষ্ট অংশ এখন মরণফাঁদেও পরিণত হয়েছে। বিষয়টি সুরহার জন্য আব্দুল্যা হিল কাফি জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।